সীতাপুরের কৃষকদের দাবি, বেশ কয়েকবছর ধরে যখন-তখন চাষের জমিতে ঢুকে পড়ে সমস্ত ফসল খেয়ে ফেলছে নীলগাইয়ের দল। ভয় দেখিয়ে তাড়িয়েও রেহাই মিলছে না। ফের হানা দিচ্ছে তারা। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, চাষের জমিতেই রাত কাটাচ্ছেন কৃষকরা।
কিন্তু জমিতে রাত জেগেও মিলছে না সমাধান। নীলগাই এতটাই আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছ যে বন্দুক হাতে তুলে নিয়েছেন কৃষকরা।
কৃষকদের দাবি, বন দফতরে বার বার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই তাঁর বাধ্য হয়ে বন্দুক হাতে তুলে নিয়েছেন।
অন্যদিকে, বিহারের মোকামায় গত কয়েকদিনে গুলি করে মারা হয়েছে বিপন্ন প্রজাতির প্রায় আড়াইশো নীলগাই। যার জন্য হায়দরাবাদ থেকে আনা হয় পেশাদার শ্যুটার। ফসল নষ্টের জেরে এই সিদ্ধান্ত বলে বিহার সরকার সাফাই দিলেও ঘটনাকে ঘিরে দেশজুড়ে বিতর্ক।
ঘটনায় কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী সরকারেরই মন্ত্রী তথা পশুপ্রেমী মেনকা গাঁধী। তাঁর অভিযোগ, পরিবেশ মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে অবাধ পশু হত্যার অনুমতি দিয়েছে।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এদিন প্রতিবাদে সরব হয়েছে ১০০-রও বেশি পশুপ্রেমী সংগঠন। তাদের অভিযোগ, এভাবে বিপন্ন প্রজাতির নীলগাই হত্যা চলতে থাকলে বিপন্ন হয়ে পড়বে আমাদের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য।
সংগঠনগুলির দাবি, অবিলম্বে এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নির্ধারণ করা উচিত।