দুর্ঘটনায় পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক এমন ৯ জনকে লখনউয়ের সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে।
এদিকে, তিনদিনের গুজরাত সফর মধ্যপথেই স্থগিত রেখে রায়বেরিলি আসেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। রায়বরেলি পৌঁছে তিনি কথা বলেছেন স্থানীয়দের সঙ্গে। আহতদের দেখতে যান হাসপাতালেও। কথা বলেন দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও। রাহুলের সঙ্গে ছিলেন দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা গুলাম নবি আজাদ, কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশ শাখার সভাপতি রাজ বব্বর।
বয়লার ফেটে মর্মান্তিক ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়েছে কংগ্রেস। রাহুলের অফিস থেকে ট্যুইট করে বলা হয়, উদাসীনতা, গাফিলতিই দুর্ঘটনার কারণ বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা। তাই এর বিচারবিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত।
রাহুল নিজেও বলেন, এনটিপিসি-র ঘটনায় মৃতদের যে কী যন্ত্রণা পেয়ে মরতে হয়েছে, সেটা দেখে কষ্ট হল। ওদের পরিবারগুলিকে আরও বেশি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, সরকারি চাকরিও পাওয়া উচিত। আহতদেরও সম্ভাব্য যাবতীয় সহায়তা দিতে হবে।
এনপিটিসি-র ওই ইউনিটের অফিসারদের রাহুল প্রশ্ন করেন, কতজন শ্রমিক ওখানে কাজ করেন? বলেন, লোকে বলছে, ইউনিট নির্ধারিত সময়ের আগেই চালু করা হয়েছিল। এটা ঠিক হয়নি। আমরা তদন্ত চাইছি।
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর কে সিংহও এসেছেন রায় বরেলিতে। তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি হয় রাহুলের।
সরকারি তদন্ত হলে আসল তথ্য ধামাচাপা পড়তে পারে বলে মন্তব্য করে গুলাম নবি বলেন, জখম লোকজন বীভত্স ভাবে পুড়ে গিয়েছেন। সংখ্যাটা ১০০-র বেশি। ওদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ চাই। ঘটনাটি তদন্ত করতে বিচারবিভাগীয় কমিশন গড়া হোক।
এনটিপিসির ৬ নম্বর ইউনিটে গতকাল বিকেলে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। সে সময় ইউনিটে কাজ করছিলেন প্রায় ৩৫০ জন। ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম এই ইউনিটে বিস্ফোরণ ঘটে বয়লার থেকে টারবাইনের মাঝে স্টিম পাইপলাইনে। বয়লারের চিমনি ডাক্টে ছাই জমা হওয়ায় গ্যাস বেরিয়ে যেতে পারেনি। স্টিম পাইপলাইন আচমকা ফেটে যাওয়ায় ২৫০ ডিগ্রির বেশি উত্তাপ চারপাশে ছড়িয়ে যায়। ঝলসে যান ২০০ শ্রমিক।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের বিদ্যুতমন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা ট্যুইট করেন, কেন্দ্র এনটিপিসি-র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ৩০ দিনে রিপোর্ট দেবে তারা।