পর্রীকর বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, তাতে ভারতীয় সেনাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠেছে। তবে নাগরোটায় আরও বেশি সচেতনতা অবলম্বনের প্রয়োজন ছিল। সম্ভবত সেনা বাহিনীর মধ্যে কিছুটা ঢিলেমি এসেছিল।নিরাপত্তা যে খানিকটা শিথিল ছিল, তা সুস্পষ্ট। তবে আমরা দ্রুত নিরাপত্তা ব্যাবস্থার উন্নতি করতে পারব।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর সোমবার মাঝরাতে নাগরোটায় ১৬৬ আর্টিলারি ইউনিটে হামলা চালায় জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় দুই সেনা অফিসার সহ ৭ জনের। সেনা ক্যাম্পে পণবন্দি করার পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও জঙ্গিদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। পর্রীকর বলেন, জওয়ানদের মৃত্যু ভীষণই দুঃখজনক। কিন্তু তাঁদের পরিবার, সন্তানদের বাঁচানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি নিশ্চিত, এই ঘটনার পর আরও সতর্ক হবে সেনাবাহিনী। তিনি আরও বলেন, সংবেদনশীল ঘাঁটিগুলির সুরক্ষার জন্য স্মার্ট টেকনোলজির সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন। সীমান্ত সুরক্ষার ব্যাপারে মাইক্রোওয়েভ, লেজার, স্মার্ট ফেন্স যা কিনা বিপদের সময় কেঁপে উঠবে এবং সিসিটিভি ক্যামেরা প্রভৃতির সাহায্য নেওয়ার কথা বলেন তিনি। ঘটনাস্থলের ১ কিলোমিটারের মধ্যে সমস্ত অস্বাভাবিক গতিবিধি এতে ধরা পড়বে। তবে রাতারাতি সেই পরিকাঠামো তৈরি সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, সাম্বার আইবি সেক্টরে ৭০ ফুট লম্বা টানেলের মধ্য দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে বিএসএফ। সীমান্তরেখায় এধরনের সুড়ঙ্গ খুঁজে তা স্ক্যান করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এক বিএসএফ অফিসার বলেন, জম্মু, সাম্বা, কাঠিয়া কোনও সেক্টরেই সুড়ঙ্গ মারফত জঙ্গিদের প্রবেশের সুযোগ দেবে না বিএসএফ। বর্ডারলাইনে সব টানেল তন্নতন্ন করে সন্ধান চালানো হবে।