বালাসোর: ফের প্রকাশ্যে ওড়িশার অমানবিক মুখ। এইচআইভি আক্রান্তের মৃত্যুর পরে শ্মশানে দেহ সৎকারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। এডস নিয়ে প্রচার চলা সত্ত্বেও অসচেতনতার ছবি যে তারপরেও প্রকট তার প্রমাণ মিলল।
শুক্রবার কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এইচআইভি আক্রান্ত এক দলিত ব্যক্তির মৃত্যু হয়। বালেশ্বরের তেনতেই গ্রামের বাসিন্দা মৃতের পরিবার দেহ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যায়। শ্মশানে সত্কার করলে, সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে দাবি করে বাধা দেন গ্রামবাসীরা।
এরপর বাড়ির সামনেই দেহ সৎকার করেন এইচআইভি আক্রান্তের আত্মীয়রা। বাড়ির সামনে সৎকার করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে প্রাশাসনও। সূত্রের খবর, বারবার বোঝানো সত্বেও গ্রামবাসীরা অনড় ছিলেন। সে কারণেই বাড়ির সামনে দেহ সৎকারের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে স্ত্রীয়ের দেহ কাঁধে নিয়ে ১২ কিলোমিটার পথ হেঁটেছিলেন ওড়িশার দানা মাঝি। অমানবিতার ছবি দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ।
তার ক’দিন পরে আরও এক অমানবিক ছবি দেখা গিয়েছিল ওড়িশার মালকানগিরিতে। কাপড়ে মোড়া ছোট্ট মেয়ের দেহ নিয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো হাঁটতে দেখা গিয়েছিল বাবা দীনবন্ধু খেমুডুকে।
এবার কুসংস্কারের ছবি বালেশ্বরের তেনতেই গ্রামে। ঘটনায় প্রশ্নে এইচআইভি নিয়ে সচেতনতার তৈরি করতে দীর্ঘদিন ধরে চলা অভিযানের ভূমিকা। প্রশ্নে মানবিকতাও।