কলকাতা: তখনও অযোধ্যায় রুপোর ইট গাঁথেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অযোধ্যার নাম না-করে তাঁর ঘণ্টাখানেক আগে সম্প্রতির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজের টুইটার হ্যান্ডলে মমতা লেখেন, ‘‘হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান একে অপরের ভাই-ভাই! আমার ভারত মহান, মহান আমার হিন্দুস্তান! আমাদের দেশ তার চিরায়ত বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে, এবং আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে এই ঐতিহ্যকে সংরক্ষিত রাখবো।।’’


রামমন্দির নিয়ে তৃণমূল বরাবর সাবধানি অবস্থান নিয়ে এসেছে। রামমন্দির নিয়ে গত বছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে রাজ্যের শাসকদল কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এ বারও রামমন্দিরের ভূমিপুজো ও শিলান্যাস নিয়ে একটা শব্দও খরচ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, শিলান্যাসের দিন তিনি সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে বিভেদের কোনও জায়গা নেই।
অযোধ্যায় ভূমিপুজোর দিন রাজ্যে সম্পূর্ণ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। দলের তরফে এদিন লকডাউন না-করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তাতে সাড়া দেয়নি রাজ্য সরকার। যদিও একাধিক বার লকডাউনের ঘোষিত দিন পরিবর্তিত হয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও কড়া হাতে লকডাউন সফল করতে রাস্তায় ছিল পুলিশবাহিনী। বিজেপি-ও জানিয়েছিল, আজ তারা প্রকাশ্যে কোনও অনুষ্ঠান করবে না। বিজেপি নেতাদের দাবি, তাঁরা কথা রেখেছেন। কিন্তু তৃণমূলকে এই সিদ্ধান্তের মূল্য হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। এ দিন রাজ্য বিজেপি নেতাদের বাড়িতে কিছু প্রতীকী অনুষ্ঠান হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা মতো রাজভবনে প্রদীপ জ্বালিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। হাওড়ায় ভোরে বাজি ফাটিয়ে শোভাযাত্রা করেন বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।