মুম্বই: প্রজাতন্ত্র দিবসে বিরোধীদের ‘সংবিধান বাঁচাও র‍্যালি’ এবং বিজেপির ‘তেরঙ্গা যাত্রা’ নিয়ে সরগরম বাণিজ্য নগরী। আজ ‘সংবিধান বাঁচাও র‍্যালি’-র আগে মুম্বইয়ে বৈঠকে বসেন বিরোধী দলের প্রথম সারির নেতারা। ছিলেন কংগ্রেস নেতা সুশীল কুমার শিণ্ডে, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, জেডিইউ নেতা শরদ যাদব, সিপিআই নেতা ডি রাজা ও পাতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেল সহ অন্যান্যরা । দক্ষিণ মুম্বইয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বাড়িতে এই বৈঠক হয়। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে আরও সঙ্ঘবদ্ধ করতেই এই বৈঠক বলে সূত্রের খবর। এদিকে, আজই বিরোধীদের পাল্টা ‘তেরঙ্গা যাত্রা’র আয়োজন করেছে মহারাষ্ট্র বিজেপিও।
‘সংবিধান বাঁচাও র‍্যালি’-র পর পাওয়ার বলেছেন, আগামী ২৯ জানুয়ারি দিল্লিতে বিজেপির বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াইয়ের বিষয়ে আলোচনা করতে বিরোধী দলগুলি বৈঠকে বসবে।
‘সংবিধান বাঁচাও র‍্যালি’ মহারাষ্ট্র সচিবালয়ের কাছে ওভাল ময়জান থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় দক্ষিণ মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ায়। সেখানে সাংবাদিকদের পাওয়ার বলেছেন, সংবিধান 'রক্ষা'য় এভাবে মিছিল করার সিদ্ধান্ত যৌথভাবে নিয়েছে সমমনোভাবাপন্ন দলগুলি।
পাওয়ার বলেছেন, বিরোধী দলগুলি এবার আগামী ২৯ জানুয়ারি দিল্লিতে আলোচনায় বসবে।
এনসিপি নেতা প্রফুল পটেল, ডিপি ত্রিপাঠী, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চবন, প্রাক্তন সাংসদ রাম জেঠমালানিও এই মিছিলে যোগ দেন।
ইয়েচুরি বলেছেন, সংবিধানে উল্লেখিত মৌলিক অধিকারগুলিও শাসক দলের আক্রমণের মুখে পড়েছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, বিজেপি দেশকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। দেশকে বাঁচাতে বিরোধী দলগুলি গৈরিক দলের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে।
চবনের অভিযোগ, সরকার স্বৈরতান্ত্রিক পথে চলছে। বিজেপির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সব ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টার অভিযোগও এনে বলেছেন, এই প্রবনতা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক।