শ্রীনগর: রমজানের সময় এক তরফা অস্ত্র সংবরণের জন্য কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি যে প্রস্তাব করেছিলেন তা মানল না সেনা। তারা জানিয়ে দিল, এভাবে অস্ত্র সংবরণ তখনই সম্ভব, যখন পাকিস্তানে ঘাঁটি গাড়া জঙ্গি সংগঠনগুলোও একই সঙ্গে অস্ত্র সংবরণের কথা ঘোষণা করবে। তা না হলে উপত্যকার পরিস্থিতি আরও জটিল হবে বলে মনে করছে তারা।


শেষ এভাবে এক তরফা অস্ত্র সংবরণ হয় অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে। ২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০১-এর মে পর্যন্ত অস্ত্র সংবরণ করে তৎকালীন এনডিএ সরকার। সে সময় জঙ্গি হামলার ঘটনা লাগামছাড়াভাবে বেড়ে যায় গোটা রাজ্যে। সেনা শঙ্কিত, এক তরফা অস্ত্র সংবরণ ঘোষণা করলে এবারেও তেমনই কিছু ঘটতে পারে।

জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ৮ তারিখ কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেন, পূর্বতন এনডিএ সরকারের সিদ্ধান্ত থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রমজানের মাসে অস্ত্র সংবরণের ঘোষণা করতে। তা তাহলে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে চলবে অগাস্টে অমরনাথ যাত্রা পর্যন্ত। কিন্তু সেনা তো বটেই, জাতীয় নিরাপত্তা আধিকারিকরাও জানিয়ে দিয়েছেন, জঙ্গিরাও যতক্ষণ না একইভাবে অস্ত্র সংবরণ করছে, তার আগে এমন ঘোষণা নিজের পায়ে কুড়ুল মারার সামিল। সেনা আরও বলছে, অস্ত্র সংবরণ বা যুদ্ধবিরতি শব্দটি এ ক্ষেত্রে মানায় না, কারণ এটা কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সামিল নয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এ ব্যাপারে এখনও লিখিতভাবে কোনও প্রস্তাব পায়নি তারা। নেপাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফিরে এলে মেহবুবার প্রস্তাব নিয়ে সর্বদল বৈঠক হতে পারে।