নয়াদিল্লি: ওড়িশার ৫৬৮টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র তিনটিতে বৈধ আগুন নেভানোর ব্যবস্থা, পরিকাঠামো আছে বলে জানাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি)। সোমবার রাতে ভুবনেশ্বরের এসইউএম হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২১ জনের মৃত্যু ও শতাধিক মানুষের জখম হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমে বেরনো রিপোর্টকে স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে গ্রহণ করে এক বিবৃতিতে ওই তথ্য দিয়েছে কমিশন।

পাশাপাশি এ ব্যাপারে ৬ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট চেয়ে রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিবকে নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। ভুবনেশ্বরের হাসপাতালের আগুনে হতাহতদের নিকটাত্মীয়দের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাও নোটিসে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের জনৈক কর্তা। পাশাপাশি এ ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে আগাম কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে বা কী করার কথা তাঁরা ভাবছেন, তাও জানাতে বলা হয়েছে মুখ্য সচিবকে।

কমিশন স্পষ্ট বলেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে ‘কোনও গলদ থাকলে’ বা ‘উদাসীন মনোভাব’ দেখানো হয়ে থাকলে তা রোগীদের জীবনের অধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। কী করে উপযুক্ত অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকা সত্ত্বেও এত বিপুলসংখ্যক হাসপাতাল ‘অনুমতি পেল’, বিস্মিত হয়ে জানতে চেয়েছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, ভুবনেশ্বরের হাসপাতালটিকে ২০১৩ সালেই যথাযথ আগুন নেভানোর ব্যবস্থা না থাকার জন্য  সাবধান করে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা সেটা ‘কানেই তোলেনি’।