নয়াদিল্লি: নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলে বিরোধী সদস্যদের বিক্ষোভে সাময়িক মুলতুবী করে দিতে হল রাজ্যসভার অধিবেশন। কংগ্রেস, সপা ও বিএসপি সদস্যরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে ধোঁকাবাজিরও অভিযোগ তোলেন। বিরোধী সদস্যদের হৈহট্টগোলের কারণে ডেপুটি চেয়ারপার্সন পি জে কুয়িয়েন সাত মিনিটের জন্য সভা মুলতুবী করে দিতে বাধ্য হন।

সরকার ইভিএমে কারচুরি অভিযোগ খারিজ করে বলে, এ ব্যাপারে কারুর কোনও সমস্যা থাকলে তাঁরা নির্বাচন কমিশনে যেতে পারেন। সংসদ বিক্ষোভ প্রদর্শনের জায়গা নয়।

কংগ্রেস ও সপা সাংসদরা সভার কাজ বাতিল করে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে আলোচনার জন্য চারটি নোটিশ দেন। কিন্তু ট্রেজারি বেঞ্চ এর বিরোধিতা করে।

বিএসপি নেত্রী মায়াবতী শাসক দলকে 'বেইমান' বলায় পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি বলেন, এভাবে 'গণতন্ত্র ও দেশের মানুষকে'ই অপমান করছেন বিএসপি নেত্রী।

বিরোধী সদস্যরা এর প্রতিবাদ করে বলেন, বিএসপি নেত্রীর ওই মন্তব্যের লক্ষ্য  দেশের মানুষ নয়, বিজেপি।

শাসক-বিরোধী চাপানউতোর চরমে ওঠে। নকভির সঙ্গে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়।

এদিন সভার শুরুতে মধ্যপ্রদেশের একটি উপনির্বাচনের জন্য ইভিএম পরীক্ষায় ত্রুটি ধরা পড়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। তিনি বলেন, পরীক্ষায় দেখা যায়, ইভিএমে অন্য বোতামে চাপ দিলেও ভোট পড়ছে বিজেপির পক্ষেই। তিনি ওই উপনির্বাচন ও অন্যান্য নির্বাচনে ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপার ব্যবহার করার দাবি জানান।

মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর অভিযোগ খারিজ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়েছে যে, ইভিএমে কোনও কারচুপি করা যায় না। কারুর সমস্যা হলে তিনি কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারেন।