নয়াদিল্লি: বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিনও উত্তাল সংসদের উভয় কক্ষই। কৃষকদের দুর্দশার ইস্যুতে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে দুপুর বারোটা পর্যন্ত মুলতুবী হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। রাজ্যসভাতেও বিষয়টি ঘিরে বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখান। এদিন সভা শুরু হওয়া মাত্রই বিরোধী সদস্যরা কৃষকদের দুর্দশার প্রসঙ্গ তুলে ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, সরকার কৃষকদের অবহেলা করছে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার বলেন, কৃষক সংক্রান্ত ইস্যুটি এদিনের আলোচ্যসূচীতে রয়েছে। সরকার এ বিষয়ে বিরোধীদের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেবে। কিন্তু বিরোধীরা এতে কর্ণপাত করেননি। তাঁরা কৃষি ঋণ মকুবের দাবি জানিয়েও স্লোগান দেন। সভায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। বিরোধীদের বিক্ষোভ চলতে থাকায় সভা ১২ পর্যন্ত মুলতুবী করে দেন অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন।
রাজ্যসভায় আজ দুপুর দুটোয় দলিতদের প্রতি হামলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। গতকালও বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে ব্যাহত হয় সভার কার্যাবলী।
এদিন রাজ্যসভায় মায়াবতীর ইস্তফা নিয়েও সরকারকে চেপে ধরতে পারে বিরোধীরা। গতকাল রাজ্যসভার সদস্য পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিএসপি নেত্রী।
উত্তরপ্রদেশের সহারানপুরে দলিতদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন মায়াবতী।  তিন মিনিট পর ভাইস চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্য থামিয়ে দেন। তাঁকে বক্তব্য রাখতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ তুলে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন মায়াবতী।
মায়াবতীর পাশে দাঁড়িয়েছেন আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব সহ বিরোধীরা। লালু প্রসাদ মায়াবতীকে বিহার থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত করে পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছেন।
এদিন মায়াবতীর ইস্তফার প্রসঙ্গ তুলে সরব হবে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা।
এদিন সংসদে গোরক্ষার নামে পিটিয়ে হত্যা এবং বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়েও সোচ্চার হতে পারে বিরোধীরা।
রাজ্যসভায় দুপুর দুটোয় দলিতদের ওপর অত্যাচার ও গোরক্ষার নামে তাণ্ডবের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।