সিবিএসই-র প্রশ্নফাঁসকাণ্ডের পর কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী টুইট করে কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, আর কত লিক? ডেটা ফাঁস, আধার তথ্য ফাঁস, এসএসসি , নির্বাচনের তারিখ ফাঁস...এবার সিবিএসই-র প্রশ্নপত্র ফাঁস। সবকিছুই ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। তারপরই রাহুলের আক্রমণ, পাহারাদার বড়ই দুর্বল। কোনও কিছুর ওপরই নিয়ন্ত্রণ নেই।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ দিল্লি সরকার দাবি করে, তাদের কাছে সিবিএসই কর্তৃপক্ষ অভিযোগ জানায়, দ্বাদশ শ্রেণির অ্যাকাউনটেন্সির প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। যদিও পরে বোর্ড সেকথা অস্বীকার করে। এরপর পড়ুয়ারা যখন অর্থনীতির প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার কথা বলে, তখনও অস্বীকার করে বোর্ড। তবে তারপর বোর্ড দশম শ্রেণির অঙ্ক এবং দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার কথা বলে ফের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করে।
এর জেরে বিপাকে পড়ে লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীদের হয়রানির জন্যে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। এমনকি যাদের জন্যে এই অচলাবস্থা, তাদের এই গাফিলতির দায়ে নিতে হবে বলেও টুইটে দাবি তুলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব এই ঘটনার সমালোচনা করে বলেন, একের পর এক স্পর্শকাতর তথ্য এভাবে ফাঁস হয়ে যাওয়া থেকে একটি বিষয় পরিস্কার, সরকার সঠিক হাতে নেই। তাই বারংবার পুরো সিস্টেম ভেঙে যাচ্ছে। কয়েকজনের ভুলের জন্যে গোটা দেশের যুবসম্প্রদায়কে হয়রান হতে হচ্ছে মন্তব্য সপা নেতার।
প্রশ্নফাঁসকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরই পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের হাতে এসেছে সেই হাতে লেখা প্রশ্নপত্রও যেটা হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরছিল। আজ সিবিএসই-র কন্ট্রোলারকে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।