এখানে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, দাদরিতে মহম্মদ আখলাককে পিটিয়ে হত্যা থেকে শুরু করে ঝাড়খন্ডে দুটি ছেলেকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া--মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিংসার নানা ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এ দেশের হিন্দুদের তরফে কখনও ধর্মনিরপেক্ষতার খামতি দেখা যায়নি। টিভি বিতর্কে এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটতে দেখলেই আরএসএস, বিজেপির নিন্দা-সমালোচনায় মুখর হয় তারা। কিন্তু যখন বাংলাদেশ, পাকিস্তানে হিন্দুরা আক্রান্ত, নির্যাতিত হয়, তখন কেন আমাদের (মুসলিমদের) তার প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না! পড়শি দেশগুলিতে হিন্দুদের ওপর এ ধরনের হামলার বিরুদ্ধে এ দেশের মুসলিমরা মুখ খুললেই 'বিজেপি-র মুসলিমদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের ধার নষ্ট হয়ে যাবে', মন্তব্য করেন আজাদ।
আরও দুই বক্তাও ইন্ডিয়া ইসলামিক সেন্টারে হওয়া আলোচনাচক্রে 'ভারতের প্রতিবেশী মহল্লায়' হিংসার ব্যাপারে এ দেশের মুসলিমদের 'নীরবতা' নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, আমরা শুনি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ধর্মস্থান, ঘরবাড়িতে হামলা হচ্ছে। কিন্তু আমরা, এ দেশের মুসলিমরা এ ধরনের বেপরোয়া হিংসার নিন্দা করি কখনও? ঠিক যেভাবে ভারতে সংখ্যাগুরু হিন্দু ভাইয়েরা আমাদের পাশে থাকবে বলে প্রত্যাশা করি, একইভাবে আমাদেরও পাশের দেশে হিন্দুদের ওপর হিংসা, অন্যায়ের নিন্দা করা উচিত।
এনডিএ কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে গণতন্ত্র অস্তিত্ব হারিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতাটি।