কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি রামদেবের নিজের গ্রাম হরিয়ানার সৈদালিপুরে। সেই গ্রামে প্রায় দু হাজার মানুষের বাস। কিন্তু যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মাত্র ৩০ থেকে ৪০ জন। তাঁদের মধ্যে একজনও মহিলা ছিলেন না। এমনকী, রামদেবের ভাই দেবদত্তও ছিলেন না। তিনি বলেছেন, এদিন অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। রামদেব ২০০৮ সালে শেষবার গ্রামে এসেছিলেন। এই যোগগুরুর সঙ্গে আর তাঁদের যোগাযোগ নেই। গ্রামের প্রধান দেশপাল নম্বরদার অবশ্য দাবি করেছেন, গ্রামের মানুষ প্রতিদিন বাড়িতে যোগাসন করেন। কিন্তু অনেকেই রামদেবের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত। সেই কারণেই তাঁরা এই অনুষ্ঠানে ছিলেন না।
আমদাবাদের অনুষ্ঠানে রামদেব ছাড়াও হাজির ছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা এবং আমলা, হাইকোর্টের বিচারপতি ও পুলিশ আধিকারিকরা। বৃষ্টির মধ্যেই সবাইকে যোগাসন করান রামদেব। এই অনুষ্ঠানে মোট ২২টি রেকর্ড হয়েছে। এর আগে যোগ দিবসে হাজিরার রেকর্ড ছিল ১৮ হাজার। আজ তার তিন গুণেরও বেশি মানুষ হাজির ছিলেন।
যোগাসনকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজেপি সভাপতি বলেছেন, ‘২০১১ সাল থেকেই সারা বিশ্বে যোগাসনকে জনপ্রিয় করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছিল ভারত। ২০১৪ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জ মোদীজির প্রস্তাব মেনে ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ঘোষণা করার পরেই আমরা সাফল্য পেয়েছি। তারপর থেকেই বিশ্বজুড়ে যোগাসনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে।’