নয়াদিল্লি: সংবিধানে লাভ জিহাদ বলে কিছু নেই, এই ধরণের আইন এনে আখেরে সংবিধান বহির্ভূত কাজ করছে বিজেপি পার্টি, এই সুরেই দেশের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করলেন আয়াদউদ্দিন ওয়েইসি। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে সদ্য পাশ হওয়া লাভ জিহাদ আইন প্রসঙ্গে বলার সময় যে কথা বলেন মিম (AIMIM) প্রধান।


উত্তরপ্রদেশের পর মধ্যপ্রদেশেও যে আইন জারি করেছে। ধর্ম স্বতন্ত্র আইন ২০২০ নামে নতুন আইন জারি করে রাজ্যে লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে শিবরাজ সিংহ চৌহান প্রশাসন। যেখানে আইনভঙ্গকারীদের ১০ বছর পর্যন্ত জেল ও এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে।

লাভ জিহাদ আইন আখেরে জোর করে ধর্মান্তরণ করানোর চেষ্টা রোখার দাবি বলেই তাদের বক্তব্যে অনড় বিজেপি। কিন্তু তাদের এই পদক্ষেপ আখেরে সংবিধান বিরোধী বলে এবার মুখ খুললেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। মিম প্রধান বলেছেন, ‘সংবিধানের ২১, ১৪ ও ২৫ ধারার অধীনে বলা রয়েছে কোনও ভারতীয়র ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করবে না সরকার। যে কথা বারবার বলে দেশের বিভিন্ন আদালতও। তাই বিজেপি-র এই পদক্ষেপ আখেরে সংবিধানের মৌলিক অধিকার ভঙ্গের সামিল। লাভ জিহাদ আইন প্রণয়ন সংবিধান বর্হিভূত কাজ।'

কিছুদিন আগে দেশের প্রথম দেশ হিসেবে লাভ জিহাদ বিরোধী আইন এনেছিল উত্তরপ্রদেশ। জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে বিবাহ রোখার জন্যই যে আইন বলে তাদের দাবি। যদিও সেই আইন জারি হওয়ার পর থেকেই সেই রাজ্য থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আইনে জড়িয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে।

বিহারে বিজেপি-র জোটসঙ্গী জনতা দল ইউনাইটেডের প্রবীণ নেতা কেসি ত্যাগীও লাভ জিহাদ আইনের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বলেছেন, ‘লাভ জিহাদ আইনের জেরে আখেরে দেশজুড়ে ভয়ের আবহ ছড়িয়ে পড়বে। ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি হতে পারে বিভাজন। দু’জন প্রাপ্তবয়স্কের ধর্ম, জাতি বিভেদে নিজেদের পছন্দের সঙ্গীর সঙ্গে থাকার অধিকার রয়েছে।‘

কিছুদিন আগে ঐতিহাসিক এক রায়ে একই কথা জানিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টও।