ইন্দওর: মধ্যপ্রদেশের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতালে একই দিনে ১৭ জন রোগীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। জানা গেছে, গতকাল ইন্দওরের এম ওয়াই হাসপাতালে ১৭ জন রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতদের আত্মীয়দের দাবি, আচমকা অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়াতেই এতগুলি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৩ থেকে চারটের মধ্যে প্রায় ১৫ মিনিট রহস্যজনকভাবে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় বলে জানা গেছে। যদিও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, এত বড় হাসপাতালে কয়েকজন রোগীর মৃত্যুতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। ডিভিশনাল কমিশনার সঞ্জয় দুবে অক্সিজেনের ঘাটতি  বা অন্য কোনও গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন। যদিও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রকাশ নামে এক ব্যক্তির বাবা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। প্রকাশের অভিযোগ, ২২ জুন রাতে অক্সিজেন সরবরাহ অচমকা বন্ধ হয়ে যায়। আর এ জন্যই তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে। প্রকাশের দাবি, দুজন নার্সকে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তায় সময় তিনি বলতে শুনেছিলেন যে, অক্সিজেন শেষ হয়ে গিয়েছে। এর এক-দেড় ঘন্টার পরই প্রকাশকে জানানো হয় যে, তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে। প্রকাশ জানিয়েছেন, আরও কয়েকজন রোগীর মৃত্যু হয়। প্রকাশের দাবি, তাঁর চোখের সামনেই দু-তিন জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
যদিও অক্সিজেনের অভাবে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ খারিজ করে হাসপাতালের নির্দেশক বিএস পাল বলেছেন, যে রোগীরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের যে সকলকেরই অক্সিজেন চলছিল, এমনটা  কিন্তু নয়। হাসপাতালে ৪০ টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হল তার প্রভাব তো ভেন্টিলেটরে থাকা রোগীদের ওপরও পড়ত।
এরইমধ্যে খবর পেয়ে হাসপাতালে তথ্য সংগ্রহে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় সংবাদমাধ্যমকে। মৃতদের তালিকা ও তাঁদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি সেই লগবুকও যেখানে অক্সিজেন সরবরাহ নথিভুক্ত থাকে।
বিএস পাল বলেছেন, রোগীদের ঠিকানা হাসপাতাল কর্তপক্ষ দিতে পারে না। এর অনেক কারণ রয়েছে।
বিরোধী দল কংগ্রেস ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে।