গতকাল একটি সাহিত্য সম্মেলনে পদ্মাবতীর সমর্থনে মুখ খুলে তারুর রাজপুতদের কটাক্ষ করে বলেন, ব্রিটিশরা যখন তাঁদের সম্মান পদদলিত করছিলেন, তখন তথাকথিত বীর মহারাজারা নিজেদের বাঁচাতে ব্যস্ত ছিলেন। এখন তাঁরাই সম্মানহানির অভিযোগে একজন চলচ্চিত্র পরিচালকের বিরুদ্ধে সরব।
এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য বদলে তারুর দাবি করেন, ‘বিজেপি-র কিছু অন্ধ ভক্ত আমার বিরুদ্ধে রাজপুতদের অপমান করার মিথ্যা প্রচার শুরু করেছে। ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আমি তাদের পক্ষে থাকা রাজাদের কথা বলেছিলাম। আমাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের কথা মাথায় রেখে নির্ভয়ে বলব, রাজপুত সম্প্রদায়ের অনুভূতিকে সম্মান জানানো আমাদের কর্তব্য। তাঁদের বীরত্বের কথা আমাদের ইতিহাসে আছে। সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। বিজেপি ও সেন্সর বোর্ডের সেটাকে সম্মান জানানো উচিত।’
তারুরকে খোঁচা দিয়ে ট্যুইটারে স্মৃতি লিখেছেন, ‘সব মহারাজাই কি ব্রিটিশদের সামনে মাথা নুইয়েছিলেন? জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ, দিগ্বিজয় সিংহরা কী বলবেন?’
এই বিতর্কে দলের মধ্যেও কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তারুর। কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া তারুরকে ইতিহাস ঝালিয়ে নিয়ে ব্রিটিশ আমলে মহারাজাদের ভূমিকা সম্পর্কে জানার পরামর্শ দিয়েছেন। কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র শক্তিসিংহ গোহিলও তারুরের মন্তব্যের বিরোধিতা করে বলেছেন, পদ্মাবতী রাজপুতদের সম্মানের বিষয়। ছবিটি যদি রাজপুতদের ভাবাবেগে আঘাত করে, তাহলে ছবিটির মুক্তি স্থগিত করে দেওয়া উচিত সেন্সর বোর্ডের। শ্রী রাজপুত করণী সেনা সবুজ সঙ্কেত না দেওয়া পর্যন্ত ছবিটি মুক্তির অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে পদ্মাবতীর মুক্তি আটকানোর অনুরোধও জানিয়েছেন গোহিল। তিনি আবার স্মৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান বদল করে বিষয়টির সঙ্গে রাজনীতিকে যুক্ত করার অভিযোগ করেছেন।