উপাধ্যায় বলেছেন, ‘পাক বাহিনী ভারতের জনবসতি এলাকাগুলিতে ইচ্ছাকৃতভাবে শেল ও মর্টার ছুঁড়ছে। বিএসএফ কিন্তু যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে কখনই পাকিস্তানের অসামরিক এলাকায় গুলিবর্ষণ করে না। আমরা শুধুমাত্র যে সব সামরিক ব্যাঙ্কার থেকে পাক বাহিনী গুলি ছোঁড়ে সেগুলিই নিশানা করি। আমরা পাকিস্তানের ১৪ টি ব্যাঙ্কার চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছি’।
উপাধ্যায় বলেছেন, পাকিস্তানের অসামরিক এলাকায় যদি কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়, তাহলে ওই জনপদগুলি পাকিস্তানের সামরিক ব্যাঙ্কারের খুব কাছে অবস্থিত হওয়ার কারণে এই ‘পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতি’ (কোল্যাটারাল ড্যামেজ) ঘটে থাকতে পারে।
বিএসএফের এই শীর্ষ আধিকারিক তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে কিছু ছবিও দেখিয়েছেন। সেগুলিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সামরিক ব্যাঙ্কারগুলি লক্ষ্য করেই গুলি চালাচ্ছেন বিএসএফ জওয়ানরা।
উল্লেখ্য, জম্মু সীমান্তে পাক গুলিবর্ষণে গতকাল ৮ নিরীহ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হওয়ায় দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও চড়েছে। এই নির্মমতার জবাবে ভারতীয় বাহিনী ১৪ টি পাকিস্তানি পোস্ট ধ্বংস করে দিয়েছে। ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে দুই পাক রেঞ্জারের মৃত্যু হয়েছে।
পাকিস্তানের অবিরাম শেল ও গুলি বর্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী ৪০০ স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
সীমান্তে গুলিবিনিময়ের ঘটনা বেড়ে চলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ দিল্লিতে একটি বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। বৈঠকে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, সেনাপ্রধান জেনারেল দলবীর সিংহ সুহাগ এবং অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা।