নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনও বিষয়ে আলোচনায় তৈরি  ভারত। কিন্তু তাঁর আগে ফলপ্রসূ আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে হবে পাকিস্তানকে এবং সেই সঙ্গে হিংসা ও সন্ত্রাসবাদের সাহায্য নেওয়া বন্ধ করতে হবে। পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে বসনিয়ায় শরিফ বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে সমস্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইসলামাবাদ। এর জবাবে স্বরূপ বলেছেন, ভারত কখনই আলোচনা করতে অস্বীকার করেনি। কিন্তু পাকিস্তানকে এর উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। তাদের সন্ত্রাসবাদে মদতদান বন্ধ করতে হবে।


বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বলেছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখায় বারেবারেই সীমান্তের ওপার থেকে গুলি চালানো ও সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটছে। জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। জঙ্গিরা ভারতের সেনাজওয়ানদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

স্বরূপ বলেছেন, কাজেই আলোচনার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে পাকিস্তানকেই। তাদেরকে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে যেখানে তারা হিংসা ও সন্ত্রাসের সাহায্য নেবে না। এমন হলে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে যেকোনও ইস্যুতে আলোচনায় তৈরি ভারত।

পাক বিদেশমন্ত্রক অভিযোগ করেছে যে, জম্মু ও কাশ্মীরের জনসংখ্যার বিন্যাস বদলাতে চাইছে ভারত। এই অভিযোগের জবাবে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, এ ধরনের মন্তব্য করার কোনও এক্তিয়ারই নেই পাকিস্তানের।

সম্প্রতি পাক সেনাবাহিনীর এক আধিকারিক  বলেছেন, ‘শত্রুতার মনোভাব’ ত্যাগ করে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পে যোগ গিয়ে যৌথভাবে লাভবান হওয়ার কথা ভাবা উচিত ভারতের। এই মন্তব্যের জবাবে বিকাশ স্বরূপ বলেছেন, ওই প্রকল্প চিনের উদ্যোগে গৃহীত হয়েছে। করিডোর তৈরি হচ্ছে ভারতের সার্বভৌম অংশের ওপর দিয়ে। এ ব্যাপারে নয়াদিল্লির উদ্বেগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৪৬ বিলিয়ন ডলারের সিপিইসি প্রকল্পের লক্ষ্য, চিনের পশ্চিম অংশের সঙ্গে বালুচিস্তানের গ্বদর বন্দরের মাধ্যমে আরব সাগরের সংযোগ গড়ে তোলা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওপর দিয়েও এই করিডোর যাবে। এ ব্যাপারে ভারত ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের ব্যাপারে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।