নয়াদিল্লি:  ২৪ ঘণ্টা আগেই গত ৯ থেকে ১০ মে কীভাবে পাক চৌকি ধ্বংস করেছিল ভারতীয় সেনা জওয়ানরা সেই ভিডিও প্রকাশ করা হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে হামলার মুখে কার্যত প্রতিরোধ তৈরির সুযোগই পায়নি পাক বাহিনী! ধূলিসাৎ হয়ে গেছে একের পর এক চৌকি! চোখের পলক ফেলার আগেই ঘটেছে পরপর বিস্ফোরণ!প্রসঙ্গত গত ১ মে কৃষ্ণা ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মুণ্ডচ্ছেদের এক সপ্তাহের মধ্যেই কার্যত এই কড়া জবাব দেওয়া হয় ভারতের তরফে, দাবি নয়াদিল্লির।



মঙ্গলবার দুপুরে এই ভিডিও প্রকাশের পরই গতকাল রাতে পাকিস্তানের তরফে পাল্টা চাপসৃষ্টি করতে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে পাক জওয়ানরা নৌসেরা সেক্টরে হামলায় ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় ঘাঁটি। ইসলামাবাদের দাবি, এই আক্রমণের ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৩ মে।



মঙ্গলবার রাত ৯টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ একটি ভিডিও আপলোড করে পাকিস্তান। সেখানে দেখা যাচ্ছে চারপাশে বিস্ফোরণ চলছে, সঙ্গে ধোঁয়ায় ভরে গেছে গোটা এলাকা। এরপরই পাক সেনা বাহিনীর মেজর জেনারেল আসিফ গাফুর টুইট করে বলেন, গত ১৩ মে ভারত কোনও পাক ঘাঁটি ধ্বংস করেনি। তাঁর পাল্টা দাবি ভারতীয় জওয়ানরা কার্যত নিয়ন্ত্রণ রেখার দুধারের সাধারণ মানুষকে নিশানা করেছিল। কিন্তু পাক জওয়ানরা তাঁদের আক্রমণ সীমাবদ্ধ রেখেছে সেনাবাহিনীর মধ্যেই।






এরপর দ্বিতীয় টুইট করে, এই কথাটি লেখেন এবং এই ভিডিও প্রকাশ করেন মেজর গাফুর।

 




প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরেই নয়াদিল্লির তরফে দাবি করা হয়, পাকিস্তানের দিক থেকে অনুপ্রবেশ রুখতে ভারত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়েছে, চলছে নজরদারিও।  অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দেওয়া হচ্ছে কড়া জবাবও। এরপরই ভারতকে পাল্টা চাপে রাখতে এই ভিডিও প্রকাশ ইসলামাবাদের। তবে এর আগে সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের তরফে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথাও সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছিল।


যদিও, কিছুক্ষণের মধ্যেই পাক সেনার এই দাবিকে নস্যাৎ করেছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সীমান্তে সবকটি ভারতীয় ছাউনি এতটাই মজবুত, যে তা রিকয়েললেস বন্দুকের (আরসিএল) গোলা সইতে পারবে।


সেনার দাবি, কোনও আইইডি বিস্ফোরণের তীব্রতা (লক্ষ্যবস্তুর) কাঠামোর নীচ থেকে পাওয়া যায়। তা কখনই বিস্ফোরণের আগুন দিয়ে বোঝা সম্ভব নয়। ওই সূত্রের আরও দাবি, পাকিস্তান যে ভিডিওটি আপলোড করেছে, তা পরিষ্কার এডিট করা হয়েছে।