নয়াদিল্লি: ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে ভট্টের সঙ্গে হটলাইনে আলোচনায় পাকিস্তানের ডিজিএমও মেজর জেনারেল সাহির শামসাদ মির্জা জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিনা প্ররোচনায় গুলিচালনার অভিযোগ তুলে পাল্টা জবাব শুনলেন। আগে থেকে আলোচনা হবে বলে ঠিক ছিল না। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আলোচনার অনুরোধ এসেছিল।


সেখানে পাক ডিজিএমও-র অভিযোগের জবাবে জেনারেল ভট্ট জানিয়ে দেন, সশস্ত্র জঙ্গিরা ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে ভারতীয় ফাঁড়িগুলিতে হামলা করছে। আর ওদের 'লাগাতার মদত' দিচ্ছে পাক সেনা। ভারতীয় সেনারা শুধু এরই পাল্টা গুলি চালাচ্ছে। পাক সেনার এহেন সন্ত্র্রাসবাদে মদত দেওয়া ভারতের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়, এ ধরনের কাজকর্মের জবাবে যাবতীয় পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখবে ভারত।

ভারতীয় ডিজিএমও পাক সেনাকর্তাকে বলেন, সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি সুনিশ্চিত করতে ভারতীয় সেনার প্রয়াস চলতে থাকবে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি পাক সেনার সমর্থন, মদতই যে কোনও 'মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির' মূল কারণ।

সেনার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি আবারও বলে দিয়েছেন, পাক সেনার সন্ত্রাসবাদে সমর্থন গ্রহণযোগ্য নয়, ভারতীয় সেনা যাবতীয় পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া বহাল রাখবে, পাকিস্তানের দিক থেকে এ ধরনের আগ্রাসী, প্ররোচনামূলক আচরণের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকারও তার থাকবে।

জেনারেল ভট্ট পাক প্রতিনিধিকে এও বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী সবসময় চরম পেশাদারী মাপকাঠি মেনে চলে, কখনই সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করে না। বরং পাক সেনাই সীমান্ত চৌকিগুলিতে সাধারণ নাগরিকদের বসিয়েছে, পাক সেনা ফাঁড়িগুলির আশপাশে সাধারণ বাসিন্দাদের স্থায়ী ভাবে থাকার অনুমতিও দিয়েছে। এইসব লোকজনকে বারবার ভারতীয় সেনা জওয়ানদের গতিবিধির খবরাখবর সংগ্রহে ব্যবহার করা হয়, নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের সময় গাইড হিসাবেও কাজে লাগানো হয়।