নয়াদিল্লি: গোটা উত্তরপূর্বে অশান্তি জিইয়ে রাখতে চিনের সহায়তায় পাকিস্তান ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে, আর তারই অঙ্গ হিসাবে বাংলাদেশ থেকে সেখানে পরিকল্পিত অনুপ্রবেশ হচ্ছে। এমনই দাবি সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের।
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পশ্চিমের প্রতিবেশীর কারণে প্ল্যানমাফিক অভিবাসন চলছে। ওরা ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে সবসময় চেষ্টা করে যাবে যাতে এই অঞ্চলটা দখল হয়ে যায়। ওখানে অশান্তি বাঁধিয়ে রাখতে চিনের সমর্থন পাচ্ছে ওরা। ওখানে অভিবাসন চলতেই দেখব আমরা। সমস্যাকে চিহ্নিত করে আন্তরিকতার সঙ্গে বিচার করার মধ্যেই সমাধান রয়েছে।
অসমে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ বরাবরই খুবই জরুরি ইস্যু। রাজ্য সরকার বেআইনি বসবাসকারীদের চিহ্নিত করতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বের করছে।

অসমের একাধিক জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে বলে প্রকাশিত বেশ কিছু রিপোর্টের উল্লেখ করে সেনাপ্রধান রাজ্যে বদরুদ্দিন ওমরের অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফোরামের কথাও বলেন। তিনি ১৯৮৪ সালে বিজেপি ২টি আসন পেয়েছিল বলে উল্লেখ করে বলেন, এআইইউডিএফ বলে একটা দল আছে। খেয়াল করে দেখুন, বিজেপি বছরের পর বছর যে গতিতে বেড়েছে, ওরা অসমে তার চেয়েও দ্রুত বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, মুসলিম স্বার্থরক্ষার দাবি করে ২০০৫ সালে তৈরি দলটির বর্তমানে তিন সাংসদ, বিধায়ক ১৩ জন। অসমে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, এমন জেলার সংখ্যা ৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯, এই তথ্যের উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ওখানকার জনবিন্যাস এখন আর বদল করা সম্ভব বলে মনে করি না। ৫ থেকে বেড়ে ৮ বা ৯টি জেলায় এমন হলে সরকারে যে-ই থাকুক, বিপর্যয় কিন্তু ঘটেছে। তিনি বলেছেন, এলাকার মানুষজনকে মূলস্রোতে আনতে হবে, তারপর চেষ্টা করতে হবে, যারা সমস্যা তৈরি করছে, তাদের চিহ্নিত করার।
তিনি বলেন, সরকার উত্তরপূর্বের ক্ষেত্রে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে, উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে অনেক পদক্ষেপ করছে। এর ফলে ওই অঞ্চলকে মূলস্রোতে সামিল করে উন্নয়ন ঘটাতে বেশি দেরি হবে না। উন্নয়ন সম্ভব হলেই ওখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে পাওয়া যাবে।
সেনাপ্রধান অবশ্য একইসঙ্গে এও বলেন, বাংলাদেশে বন্যা সহ নানা কারণে জমি হ্রাস পাচ্ছে, সংকুচিত হচ্ছে এবং সেটাও সেখান থেকে অনুপ্রবেশের আরেকটা কারণ।