নয়াদিল্লি: সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা বহুগুণ বাড়িয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু, নিরাপত্তাবাহিনী সতর্ক থাকায় অপর দিকে মৃত্যুর হারও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। এমনই দাবি কেন্দ্রের।
শুক্রবার, লোকসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, দেশের পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রোধ করতে ভারতীয় সেনা ‘কর্তৃত্ব ও প্রভাব’ বিস্তার করেছে।
তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা প্রভূত পরিমাণে বাড়িয়েছে পাকিস্তান’। তিনি যোগ করেন, নিরাপত্তাবাহিনীর নজরদারি জোরদার হওয়ায় বহু চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এবং অনুপ্রবেশের হার অনেকটাই কমেছে। জেটলির দাবি, রেকর্ড সংখ্যক (অনুপ্রবেশকারীর) মৃত্যু হয়েছে।
জেটলি এদিন জানান, চলতি বছরে নিয়ন্ত্রণরেখায় এখনও পর্যন্ত ২৮৫টি সংঘর্ষবিরতি চুক্তিভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে। তুলনায় গোটা ২০১৬ সালে ২২৮টি সংঘর্ষবিরতি চুক্তিভঙ্গের ঘটনা ঘটেছিল। এতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পাশাপাশি, চলতি বছর আন্তর্জাতিক সীমান্তে ২২১টি সংঘর্ষবিরতি চুক্তিভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সেনা ও বিএসএফ দুজনই পাহারা দিচ্ছে। জেটলি জানান, ভারতের তরফে যোগ্য জবাবও দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, পাক সেনার দ্বারা পরিচালিত সংঘর্ষবিরতি হোক বা অনুপ্রবেশ—ভারতীয় সেনা যোগ্য জবাব দিচ্ছে। এর জন্য সেনাকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
জেটলির দাবি, সেনার সকল ফরোয়ার্ড পোস্টগুলিকে শক্তিশালী করা হয়েছে, যাতে শত্রুপক্ষের গোলাগুলি সহ্য করতে পারে। একইসঙ্গে, অস্ত্রসম্ভারও বৃদ্দি করা হয়েছে। যাতে জবাব দিতে গিয়ে ভাবতে না হয়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন অনুপ্রবেশ-রোধ ব্যবস্থা (এআইওএস) বসানোর কাজ শুরু করেছে সেনা। সেখানে রেডার, সেন্সর ও থার্মাল ইমেজিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। যাতে কোনও জঙ্গি ঢুকতে না পারে।
জেটলি জানান, এআইওএস-এর পাশাপাশি সীমান্তে বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ছাউনির সংখ্যাও অনেক বাড়ানো হয়েছে। জেটলি বলেন, সীমান্তকে নিশ্ছিদ্র করার জন্য সর্বদা প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। অনুপ্রবেশ রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।