ইসলামাবাদ: চরবৃত্তির দায়ে নয়াদিল্লিস্থ হাই কমিশন কর্মীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার নিন্দা পাকিস্তানের। মেহমুদ আখতার নামে ওই পাক দূতাবাস কর্মীর কাছ থেকে ভারতের প্রতিরক্ষা বিষয়ক নথিপত্র উদ্ধার হওয়ার পর তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। তবে কূটনৈতিক রক্ষাকবচের আওতায় থাকার সুবাদে তিনি ছাড়া পেয়ে যান। আখতারকে গুরুত্বপূর্ণ, গোপনীয় নথি পাচারের অভিযোগে রাজস্থানের বাসিন্দা দুই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করে অপরাধ দমন শাখা।

বিদেশসচিব এস জয়শংকর এ দেশে নিযুক্ত পাক দূত আবদুল বসিতকে ডেকে তাঁদের হাই কমিশনের ওই কর্মীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশের কথা  জানিয়ে দেন। তারপরই পাক বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের কূটনৈতিক কর্মীকে আটকে রেখে, মারধর করা হয়েছে। আমরা এর নিন্দা করছি। ভারতের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি এক চরম নেতিবাচক, সংগঠিত মিডিয়া প্রচারাভিযানও চলছে। সব মিলিয়ে স্পষ্ট, পাক হাই কমিশনের কাজকর্মের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক পরিসর সঙ্কুচিত হয়ে আসছে।

পাক বিবৃতিতে বলা হয়, নয়াদিল্লির পাক হাই কমিশনের স্টাফ সদস্যকে গতকাল মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগে তুলে নিয়ে যায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তবে আমাদের হাই কমিশনের হস্তক্ষেপে প্রায় তিন ঘণ্টা বাদে তিনি ছাড়া পান। আমরা ভারতের অভিযোগ খারিজ করছি, তাদের পদক্ষেপেরও নিন্দা করছি। ভারতের সিদ্ধান্তটি ভিয়েনা কনভেনশন, তার পাশাপাশি বিশেষত ইতিমধ্যেই বিষিয়ে ওঠা পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক শিষ্টাচারেরও বিরোধী। পাক হাই কমিশন সর্বদাই আন্তর্জাতিক নিয়মবিধি ও কূটনৈতিক রীতির আওতার মধ্যেই চলে। চিরাচরিত পথে পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, কাশ্মীরে ‘ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন’ থেকে আন্তর্জাতিক মহলের নজর ঘোরাতেই ভারতের এই পদক্ষেপ এবং তা কখনও সফল হবে না।

আন্তর্জাতিক মহলকেও ‘ভারতের এই ছক নজরে রাখা’র আবেদন জানিয়েছে পাকিস্তান।