লাহোর: ৮৬ বছর আগে লাহোরের সাদমান চকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই ভগৎ সিংহের মূর্তি বসাতে হবে। তাঁকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সাহসিকতার খেতাব 'নিশান-ই-হায়দর'ও দেওয়া হোক।  দাবি  ভগৎ সিংহ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের যারা আদালতে প্রবাদপ্রতিম  স্বাধীনতা সংগ্রামীকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করছে। তাদের বক্তব্য, পাকিস্তানের মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে, তাঁকে স্বাধীনতার লড়াইয়ের প্রতীক হিসাবে দুনিয়ার সামনে তুলে ধরতে তাঁর মূর্তি বসানো উচিত। এতে প্রমাণ হবে, পাকিস্তান ধর্ম, জাত, সম্প্রদায়, বর্ণের মাপকাঠিতে ভেদাভেদ করে না।
ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন পি স্যান্ডার্সকে হত্যার অভিযোগে দোষী ভগৎকে ১৯৩১ এর ২৩ মার্চ দুই সহযোগী রাজগুরু ও সুখদেবের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। তখন তাঁর বয়স ২৩।
পঞ্জাব সরকারের কাছে  নতুন আবেদনে ফাউন্ডেশন বলেছে, উপমহাদেশের স্বাধীনতার জন্যই জীবন বলিদান দিয়েছেন ভগৎ। পাকিস্তানের স্থপতি কয়েদ-ই-আজম মহম্মদ আলি জিন্নাহও তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছিলেন, উপমহাদেশে কখনও ভগৎ সিংহের মতো বীর ছিলেন না আর কেউ। ভগৎ সিংহ আমাদের হিরো, সাহসিকতার সর্বোচ্চ খেতাব 'নিশান-ই-হায়দর' এ ভূষিত হওয়ার যোগ্য। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ব্যতিক্রমী, সাধারণের অতীত সাহস, শৌর্যের পরিচয় দিয়ে এই সম্মান পান।
ভগৎ সিংহের নামে সদমন চকের নামকরণের দাবি জানিয়ে তারা বলেছে, যেসব দেশ তাদের বীর নায়কদের ভুলে যায়, তারা 'ভুল শব্দে'র মতো পৃথিবীর বুক থেকে মুছে যায়।
ঘটনাচক্রে মুম্বই হামলার মাথা হাফিজ সঈদ সাদমান চকের নাম বদলের দাবির বিরোধিতা করেছে, এমনকী নাগরিক সমাজকে এ ব্যাপারে হুমকিও দিয়েছে।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমতিয়াজ রশিদ কুরেশি লাহোর হাইকোর্টে ভগৎ সিংহের মামলাটি পুনরায় চালু করার জন্য চেষ্টা করছেন।