ইসলামাবাদ: ২০০৮-এ মুম্বইয়ে হামলা চালাতে ভারতে পৌঁছনোর জন্য একে ৪৭ রাইফেল, হাত গ্রেনেডে সজ্জিত দশ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির ব্যবহার করা নৌকাটি পরীক্ষার অনুমতি দিল পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত। নিম্ন আদালত এর আগে ‘আল ফৌজ’ নামে নৌকাটি পরীক্ষা করে দেখার অনুমতি দেয়নি। এ ব্যাপারে আবেদন এলেও তা খারিজ করে দিয়েছিল। সন্ত্রাস দমন আদালতের সেই রায় ‘ক্রটিপূর্ণ’ বলে জানিয়ে নৌকাটি পরীক্ষার দাবি মেনে নিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।


 

মুম্বই হানা মামলার প্রধান সরকারি কৌঁসুলি চৌধুরি আজহার বলেন, হামলাকারীদের ব্যবহার করা ‘আল ফৌজ’ নৌকোটিকে পরীক্ষা করার জন্য করাচিতে কমিশন পাঠানোর অনুমতি না দেওয়ায় সন্ত্রাস দমন আদালতের রায়টি খারিজ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। আজহার জানান, নিম্ন আদালতের রায়টিতে গলদ আছে, তা আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, বলেছে হাইকোর্ট।

লস্কর সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহৃত নৌকোটিকে যাতে ‘মামলার সম্পত্তি’ করা যায়, সেজন্য সেটি পরীক্ষা করে দেখতে কমিশন গড়ার আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে মে মাসে চ্যালেঞ্জ জানায় সরকারপক্ষ।

এদিনের রায়ে হাইকোর্ট অবশ্য স্পষ্ট বলেনি, নৌকাটি পরীক্ষা করে দেখার জন্য সরকারপক্ষ ও অভিযুক্তদের আইনজীবীদের নিয়ে কমিশন গঠন করার প্রয়োজন আছে কিনা। নৌকাটি বর্তমানে করাচিতে পাক কর্তৃপক্ষের হেফাজতে আছে। আদালতের এক অফিসার বলেন, কমিশন গড়ার নির্দেশ যেহেতু আসেনি, তাই ‘আল ফৌজ’ পরীক্ষা করে দেখতে আদালতের অফিসারদেরও পাঠাতে পারে নিম্ন আদালত। ৭ সেপ্টেম্বর শুনানির সময়ই আদালত কোর্টের অফিসারদের এ ব্যাপারে মনোনীত করতে পারে।

এদিকে গতকাল রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে মুম্বই হানা মামলার শুনানি করে নিম্ন আদালত। সেখানে বলা হয়, এই মামলায় ২৪ জন সাক্ষীকে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করতে পাঠানোর ব্যাপারে ভারতের তরফে কোনও জবাব এখনও পায়নি পাকিস্তান।

পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি জানিয়েছে, করাচি থেকে মুম্বই পৌঁছতে তিনটি নৌকো ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। যে দোকান থেকে তারা নৌকো ও সেটির ইঞ্জিন কিনেছিল, সেই দোকানটি চিহ্নিত হয়েছে। খোঁজ মিলেছে দোকান মালিকেরও। অর্থ লেনদেন করা হয়েছিল যে ব্যাঙ্ক ও মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির মাধ্যমে, সেগুলিরও সন্ধান পেয়েছে এজেন্সি।