নয়াদিল্লি: গুজরাতে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর মহম্মদ আলি নামে এক পাকিস্তানি নাগরিক গ্রেফতার। সোমবার বিকালে সীমান্তবর্তী বানসকান্ঠা জেলায় ১০১৫ নম্বর পিলারে কুমার বর্ডার পোস্ট থেকে তাকে পাকড়াও করেছেন বিএসএফ জওয়ানরা। ধৃত ব্যক্তি সিন্ধি ভাষায় কথা বলছিল। ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকতে গিয়ে ধরা পড়ে সে। কচ্ছের বালাসার থানায় তাকে নিয়ে আসা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, তবে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু তার কাছে পাওয়া যায়নি বলে খবর। এই নিয়ে সম্প্রতি ভারতে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে দুজন পাক নাগরিক আটক হল। গত ৬ মার্চ ৩০ বছর বয়সি এক পাকিস্তানি নাগরিক ১০৫০ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে।
এদিকে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে দিল্লির একজন। ৪২ বছরের মহম্মদ পারভেজকে দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে আগেই ধরেছিল এনআইএ। ২০১৭ থেকে সে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিল। গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জয়পুরে নিয়ে আসা হলে রাজস্থান পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রের দাবি, মিথ্যা পরিচয়ে সে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মধুচক্রের ফাঁদে জড়িয়ে গোপন খবর, কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করে পাচার করত আইএসআইকে। তাকে অর্থের জোগান দিত আইএসআই। জেরায় পারভেজ গত ১৮ বছরে ১৭ বার পাকিস্তান গিয়েছিল বলে জানিয়েছে। গোপন খবর পাচারের জন্য তাকে আইএসআই যাবতীয় মদত দিত।
রাজস্থান পুলিশের এক অফিসার বলেন, দিল্লির পাক হাইকমিশনে দ্রুত ভিসা মঞ্জুরের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নানা জনের ছবি, পরিচয়পত্র্রের সঙ্গে মোবাইল সিম কার্ড জোগাড় করত সে, তারপর হ্যান্ডলারদের কাছে তথ্য পাচারের জন্য সিম কার্ড রিটেলারদের সঙ্গে যোগসাজশে সেই নম্বরগুলি অ্যাক্টিভেট করত। জয়পুরের আদালতে হাজির করা হলে পারভেজকে চারদিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।