নয়াদিল্লি: ২০০৮-এর মুম্বই হানার ধাঁচে দেশের পশ্চিম উপকূলে সন্ত্রাসবাদী হামলার প্ল্যান ছিল, সম্ভবত সেজন্যই পশ্চিম উপকূল, স্যর ক্রিক রো, কচ্ছ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীকে কোথায়, কত সংখ্যায় মোতায়েন করা হয়, সেই সংক্রান্ত গোপন নথি, তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করছিল মেহমুদ আখতার! চরবৃত্তির দায়ে ধৃত ভারতে পাকিস্তান হাই কমিশনের ভিসা বিভাগের এই অফিসার সম্পর্কে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মন্ত্রকের জনৈক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ‘গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও গোয়ায় সামরিক ঘাঁটি সংক্রান্ত তথ্যও হাতানোর উদ্দেশ্য ছিল অবাঞ্ছিত’ তকমা পাওয়া মেহমুদের।


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসারটি বলেন, ভারতে মুম্বই নাশকতার ধাঁচে হামলা চালানোর জন্য সমুদ্রপথে জঙ্গিদের পাঠানোর ছক কষছে পাকিস্তান, গোয়েন্দা সূত্রে এমন হুঁশিয়ারি ছিলই। মেহমুদের সামগ্রিক কার্যকলাপ ও পশ্চিম উপকূলে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন নিয়ে তার তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা থেকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির হুঁশিয়ারির সমর্থনই মিলছে।

মৌলানা রমজান ও সুভাষ জাঙ্গির স্যর ক্রিক রো, কচ্ছ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়োগ সম্পর্কেই মেহমুদের হাতে গ্রেফতার হওয়ার সময় তথ্য, কাগজপত্র তুলে দিচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। পাক হাই কমিশনের ওই অফিসার তার বিনিময়ে দুজনকে ৫০ হাজার টাকা দেবে, এমনই রফা হয়েছিল।

গ্রেফতার হয়েও কূটনৈতিক রক্ষা কবচের জোরে ছাড়া পাওয়ার আগে মেহমুদ পুলিশি জেরায় চরচক্রে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে। দিল্ল পুলিশ তার বিবৃতির ভিডিও রেকর্ডিংও করে। মেহমুদ কবুল করেছে, সে এক বছরের বেশি চরবৃত্তির চক্রে সামিল ছিল। জানা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশের কাছে সে পাক হাই কমিশনের কয়েকজন অফিসারের নামও জানিয়েছে, যাদের কাছে সে চরচক্রের মাধ্যমে পাওয়া যাবতীয় তথ্য জানাত। যদিও সরাসরি প্রমাণ না থাকায় এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না পুলিশ।

প্রসঙ্গত, নির্দিষ্ট সূত্র মারফত খবর পেয়ে দিল্লি পুলিশ দিল্লি চিড়িয়াখানা থেকে মেহমুদ, রমজান ও জাঙ্গিরকে পাকড়াও করে।