জম্মু: উরির ভারতীয় সেনাঘাঁটিতে পাকিস্তানের মাটিতে প্রশিক্ষণ পাওয়া সন্ত্রাসবাদীদের হামলার পাশাপাশি সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশেও খামতি নেই। গতকাল রাতেই টহলরত বিএসএফ জওয়ানদের হাতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে ধরা পড়ে পাক ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা লস্কর-ই-তৈবার এক সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদে সে ২৬/১১-র মুম্বই হামলার মাথা বলে চিহ্নিত লস্কর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ মহম্মদ সঈদের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা জানিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।

জম্মু ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ ডিআইজি ধরমিন্দর পারিখ জানান, গতকাল ভোরে জম্মুর আখনুর এলাকার প্রাগওয়াল সেক্টরে সতর্ক সীমান্তরক্ষী জওয়ানদের হাতে আটক হয় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে কাঁটাতার ভেঙে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করতে থাকা ওই পাকিস্তানি যুবক। ৩২ বছর বয়সি ছেলেটি নিজের নাম আবদুল কায়ুম বলে জানিয়েছে। পাকিস্তানের শিয়ালকোটের পুল বাজুয়ান গ্রামের জনৈক ভাগ আলির ছেলে সে। তার কাছ থেকে একটি ডুয়াল সিমের নোকিয়া মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে।

পারিখ সাংবাদিকদের বলেন, জেরায় সে আরও জানিয়েছে, ২০০৪ সালে সে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরাবাদের মানসেরায় ‘দৌরা-ই-আম’ শিরোনামে হওয়া লস্করের সামরিক প্রশিক্ষণে সামিল হয়েছিল। তারপর থেকে সে লস্করের হয়েই কাজ করে। ‘গাজওয়া’, ‘জারার’-এর মতো জেহাদি ভাবাদর্শ প্রচারকৃ করা পত্রপত্রিকা বিলি করে, লস্করের হয়ে চাঁদাও তোলে। পাকিস্তানি মুদ্রায় ৫০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে শিয়ালকোটে মুজহিদ ভাট নামে লস্করের এক আমিরের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলেছে সে।

ডিআইজি জানান, হাফিজ সঈদ, সৈয়দ সালাউদ্দিনের মতো জঙ্গি নেতাদের পাশাপাশি সৈয়দ আলি শা গিলানি, আসিয়া আনদ্রাবি, ইয়াসিন মালিক, প্রমুখ বিচ্ছিন্নতাবাদী মাথাদের ব্যাপারেও সে পুরোপুরি অবহিত।