চণ্ডীগড়: সন্ত্রাস নিয়ে ফের পাকিস্তানকে একহাত নিলেন রাজনাথ সিংহ। বলেলেন, প্রতিবেশী রাষ্টের গোটা এস্ট্যাবলিশমেন্টই ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে। পাকিস্তানকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কটাক্ষ, সাপুড়ের মৃত্যু সাপের কামড়েই হয়!


গতকালই ব্রিকস সম্মেলনে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের আতুঁড়ঘর বলে আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার পাকিস্তানকে একহাত নিলেন রাজনাথও।

চণ্ডীগড়ে একটি সম্মেলনে অংশ নিতে গিয়ে তিনি জানান, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে হলেও, ভারত কখনই সেদেশের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে নয়। ভারত চায় না সেদেশেরপ নাগরিকদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে।

এদিন রাজনাথ বলেন, পাকিস্তানের গোটা প্রশাসনই ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের ইন্ধন জোগাতে ব্যস্ত। আর সেই কারণেই পাক-সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করা এতটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে।

ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে তাঁর সতর্কবার্তা, যারা সাপ পুষছে, তাদের মনে রাখা উচিত যে সাপুড়ের মৃত্যু কিন্তু সাপের কামড়েই হয়! তাঁর মতে, সন্ত্রাসকে ‘সরকারি নীতি’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে পাকিস্তান আখেরে শুধুমাত্র দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, গোটা আন্তর্জাতিক মহলেও একঘরে হয়ে পড়বে।

এদিন পাকিস্তানের কাশ্মীর-নীতিকেও আক্রমণ করেন রাজনাথ। বলেন, কিছু বিষয় নিয়ে পাকিস্তান এতটাই মজে রয়েছে, যে না নিজের ভাল, না অন্যের ভাল দেখতে পারছে।

তিনি যোগ করেন, ইসলামাবাদের কাশ্মীর-নীতি এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছছে যে, তারা জঙ্গি ও স্বাধীনতা সংগ্রামী-র মধ্যে তফাত করতে পারছে না।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, নাশকতা নিয়ে ভারত নিজের অবস্থানে অটল থাকলেও, পাকিস্তানের অবস্থান বদল হতে থাকে।

রাজনাথ সাফ জানিয়ে দেন, ভারত গোটা অঞ্চল থেকে নাশকতাকে নির্মূল করতে চায়। এর জন্য পাক প্রশাসনের উদ্দেশ্যে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযানে সাহায্য করার আহ্বান জানান রাজনাথ।

মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান চাইলে সেখানে জঙ্গি-নিকেশ অভিযানে ভারত সবরকম সাহায্য করবে। এমনকী, এই প্রসঙ্গে পাকিস্তান যে বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে সাহায্য পাবে, সেই আশ্বাসও দেন রাজনাথ। তবে, একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, পাকিস্তান নিজেদের ইচ্ছে কখনই পরিষ্কার করে না। এটাই সমস্যার।