মুম্বই: পানামা পেপার লিক-কাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করলেন বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। জানিয়ে দিলেন, কোনও বিদেশি সংস্থার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। বিগ বি-র দাবি, সম্ভবত তাঁর নামের ‘অপব্যবহার’ করা হয়েছে।

বিবৃতি দিয়ে অমিতাভ আজ দাবি করেছেন, যে চারটি সংস্থার কথা বলা হচ্ছে, সেই সংস্থাগুলির তিনি কোনওদিনই ডিরেক্টর ছিলেন না। বিগ বি বলেছেন, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে উল্লিখিত সি বাল্ক শিপিং কোম্পানি লিমিটেড বা লেডি শিপিং লিমিটেড, ট্রেজার শিপিং লিমিটেড এবং ট্র্যাম্প শিপিং লিমিটেড – নামে কোনও সংস্থাকে আমি জানি না। এই চার সংস্থার ডিরেক্টরও ছিলাম না।

সমস্ত কর মিটিয়েছেন বলে দাবি করে অমিতাভ আরও জানিয়েছেন, সম্ভবত তাঁর নামের অপব্যবহার করা হয়েছে। অমিতাভ জানান, ভারতীয় আইন মেনেই তিনি বিদেশে টাকা পাঠিয়েছেন, তাও এদেশের কর দেওয়ার পর। তিনি এ-ও জানান, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসও কখনই বলেনি, তিনি কোনও অন্যায় করেছেন। শুধু অমিতাভ নন, ‘পানামা পেপারস’-এ তাঁকে নিয়ে প্রকাশিত সব তথ্যও ভুল বলে দাবি করেছেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের মিডিয়া উপদেষ্টা। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেসিও।

‘মোসাক ফনসেকা’ বলে পরিচিত পানামার একটি আইনি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার গোপন নথি ফাঁস হতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-সহ বিশ্বের একশোটিরও বেশি সংবাদমাধ্যমের করা যৌথ তদন্তে উঠে আসা এই চাঞ্চল্যকর তথ্যকে বলা হচ্ছে ‘পানামা পেপারস’। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কর ফাঁকি দিতে স্বনামে এবং বেনামে ট্যাক্স হাভেন কিংবা করের স্বর্গরাজ্য বলে পরিচিত বিভিন্ন দেশের সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন বহু প্রভাবশালী ব্যক্তি। তালিকায় নাম রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট থেকে চিনা প্রেসিডেন্ট, অমিতাভ বচ্চন, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন থেকে লিওনেল মেসির।

মঙ্গলবার যে তথ্য প্রকাশিত হয়, তাতে ৫০০ জন ভারতীয়র নাম ছিল। তালিকায় রয়েছে – অমিতাভ বচ্চন, তাঁর পুত্রবধূ ঐশ্চর্য রাই বচ্চন, ইন্ডিয়া বুলসের প্রতিষ্ঠাতা সমীর গহলৌত, ডিএলএফ কর্তা কে পি সিংহ, প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল হরিশ সালভে, কলকাতার ব্যবসায়ী শিশির বাজোরিয়ার। অভিযোগ, এঁরা সকলেই কর ফাঁকি দিতে বিদেশে বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন। প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল হরিশ সালভের সাফাই, তিনি কোনও আইন লঙ্ঘন করেননি। ব্যবসায়ী তথা বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়ার দাবি, বিদেশে তাঁর ব্যবসা থাকলেও, তিনি কোনও কর ফাঁকি দেননি।

প্রসঙ্গত, বিশ্বে এমন একাধিক দেশ রয়েছে যাকে বলা হয় ‘করের স্বর্গরাজ্য’ বা ট্যাক্স হাভেন কান্ট্রি। এখানে কোনও কোম্পানি খুলে মুনাফা করলে মুলধনী আয়ের ওপর কর দিতে হয় না।