নয়াদিল্লি: হাজতে রাত কাটল ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ডেরা সাচা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিমের ঘনিষ্ঠ হনিপ্রীতের। হরিয়ানার সেক্টর ২৩ থানায় হনিপ্রীতকে জেরা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, জেরার সময় বেশ কয়েকবারই কেঁদে ফেলেন তিনি। উল্লেখ্য, সংবাদমাধ্যমে হনিপ্রীত দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। নিজেকে নির্দোষ বলেও জাবি করেছেন তিনি।
হানিপ্রীতের দাবি, রাম রহিমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বাবা ও মেয়ের।
জানা গেছে, থানায় হনিপ্রীতকে গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয়। হনিপ্রীতের মুখ থেকে সত্যি কথা বের করার জন্য হরিয়ানা পুলিশ বিশেষ একটি দল গঠন করেছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন আইজি মমতা সিংহ। পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, গত ৩৮ দিন কোথায় গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন হানিপ্রীত। সেই সময় কোন কোন ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত্ হয়েছিল।
থানায় হানিপ্রীতকে ডাল ও দুটো রুটি খেতে দেওয়া হয়। খাবার খেয়ে থানার একটি কামরায় বেশ কিছুক্ষণ একা ছিলেন তিনি। এরইমধ্যে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য চিকিত্সকদের একটি দল হাসপাতালে পৌঁছয়। কিন্তু ওই দলে কোনও মহিলা চিকিত্সক ছিলেন না। হনিপ্রীত মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে রাজিও হননি।
ধর্ষণের মামলায় রাম রহিমের সাজা ঘোষণার দিন হিংসার ঘটনার ছক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুলিশ হানিপ্রীতকে জেরা করে।
২৫ অগস্ট জোড়া ধর্ষণ কাণ্ডে রাম রহিমের ২০ বছর কারাদণ্ড ঘোষণার দিন থেকেই ফেরার ছিলেন হানিপ্রীত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পথে বাবাকে নিয়ে পালানোর ছক কষেছিলেন।
৩৮ দিন ফেরার থাকার পর গতকাল টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায় তাঁকে। হানিপ্রীত জানান, এখন আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করার কথা ভাবছেন। কিন্তু আর দেরি করেনি হরিয়ানা পুলিশ। তৎক্ষণাৎ বিশেষ দল গড়ে রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। পুলিশের দাবি, সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হওয়ার ঘণ্টা ছয়েকের মধ্যেই চণ্ডীগড় জাতীয় সড়কের কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয় হানিপ্রীত ও তাঁর সঙ্গী এক মহিলাকে। আজ হানিপ্রীতকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন পঞ্চকুলার পুলিশ কমিশনার এ এস চাওলা।