নয়াদিল্লি: সংস্কৃতের পাঠ কেন দেবেন একজন মুসলমান শিক্ষক? এই গোঁড়ামি নিয়েই টানা ১২ দিন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উত্তাল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়। বিএইচইউ-র উপাচার্য্য রাকেশ ভটনাগরের অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ৩০জন পড়ুয়া। এদের অনেকেই আবার আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র সক্রিয় কর্মী। ভারতের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন বেনজির বিক্ষোভের পিছনে রয়েছে হিন্দু মহাসভা এবং হিন্দু বাহিনীর মতো সংগঠনের কর্মীরাও। ক্যাম্পাসে স্লোগান শাউটিং তো বটেই, এমনকি সংস্কৃতে স্কলার ফিরোজ খানের নিয়োগ বাতিল করে পুনঃবার নিয়োগ পক্রিয়ার জন্য যজ্ঞও করছে বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেতা পরেশ রাওয়াল।
তিনি লেখেন, “ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে আমি হতবাক। ধর্মের সঙ্গে ভাষার কিসের সংঘাত? পরিহাসের বিষয় হল অধ্যাপক ফিরোজ খান স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি করেছেন সংস্কৃতে। দয়া করে এই মূর্খামি বন্ধ করা হোক।”
এখানেই শেষ নয়। নিজের অবস্থানকে আরও পাকাপোক্ত করে যুক্তিও দিয়েছেন এই অভিনেতা। আরও একটি ট্যুইটে পরেশ রাওয়াল লেখেন, “তাহলে মহান গায়ক শ্রী মহম্মদ রফিজি-র ভজন গাওয়া উচিত ছিল না। আর নৌসাদ সাবেরও এই গান কম্পোজ করা উচিত হয়নি।”
যদিও এই বেনজির বিক্ষোভে অধ্যাপক ফিরোজের পাশেই দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, বিএইচইউ পড়াশুনার ক্ষেত্রে কোনও রকম বৈষম্য করবে না। ধর্ম এখানে কোনও ভাবেই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না। সকলকে সমান অধিকার দেওয়া হবে। ফিরোজ খানের নিয়োগ নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যোগ্যতম প্রার্থী হিসেবেই সংস্কৃত বিভাগের সহকারি অধ্যাপক হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সংস্কৃতে পিএইচডি ফিরোজ খানের বাবাও সংস্কৃত নিয়েই পড়াশুনা করেছেন। স্থানীয় মন্দিরে ভজনও গেয়েছেন ফিরোজের বাবা।