নয়াদিল্লি: পিএনবিকাণ্ড নিয়ে উত্তাল সংসদ। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো মুলতুবি হল লোকসভা ও রাজ্যসভা।


ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় এদিন প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি তোলে কংগ্রেস ও তৃণমূল। এদিন উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁর সামনে দলের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে। জনতার টাকা লুঠ হয়েছে। অপরাধীদের দেশ ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই ইস্যুতে তারা আলোচনার দাবি রাখে। প্রবল হই-হট্টগোলের মধ্যে বুধবার পর্যন্ত সভা মুলতুবি করেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।


এর আগে, সকালে একাধির বিরোধী দলের সাংসদরা প্ল্যাকার্ড হাতে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। কংগ্রেস সাংসদরা বলতে থাকেন ‘কোথায় গেলেন নীরব মোদী? প্রধানমন্ত্রী জবাব দিন..নীরব মোদীকে ফেরত আনো..’ সেইসময় দুপুর পর্যন্ত মুলতুবি রাখতে হয় সভার কাজ।


দুপুরে যখন সভা ফের মিলিত হয়, তখন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, তারা আলোচনায় রাজি। সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার বলেন, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এই ইস্যুতে বলবেন। বিরোধীদের উদ্দশ্যে তিনি আর্জি জানান, গুরুত্বপূর্ণ বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দফায় বহু বিল পাশ করা জরুরি। সভা এভাবে ভণ্ডুল হলে, স্বাভাবিক কাজকর্ম শিকেয় উঠবে। কিন্তু বিরোধীরা তাতে কর্ণপাত না করে হই-হট্টগোল চালিয়ে যাওয়ায় দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় নিম্নকক্ষ।


একই দৃশ্য দেখা যায় রাজ্যসভাতেও। বিরোধীদের হই-হট্টগোলে এদিন দফায় দফায় স্থগিত হয়ে যায় উচ্চকক্ষ। চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু ও ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে ক্যুরিয়েন বহু চেষ্টা করেন বিরোধীদের শান্ত করার। কিন্তু, বিরোধীদের নাছোড় মনোভাবে বাধ্য হয়ে এদিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভা।