নয়াদিল্লি: কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির হই-হট্টগোলের জেরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কোনও কাজই হচ্ছে না। প্রতিদিনই মুলতুবি করে দিতে হচ্ছে অধিবেশন। অথচ এরই মধ্যে উঠল সাংসদদের বেতন বাড়ানোর দাবি। অন্য সব বিষয়ে মতান্তর থাকলেও, এ বিষয়ে আশ্চর্য মিল সরকার ও বিরোধীপক্ষের সাংসদদের। কাজ না করেই তাঁরা সবাই বেতন বাড়ানোর দাবি তুলছেন।
শুক্রবার সমাজবাদী পার্টি সাংসদ নরেশ অগ্রবাল রাজ্যসভায় বেতন বাড়ানোর দাবি তোলেন। তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন সাংসদ যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটি বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, সপ্তম বেতন কমিশন অনুসারে সাংসদদের বেতন বাড়ানো উচিত। ক্যাবিনেট সচিবদের তুলনায় সাংসদদের বেতন এক টাকা বেশি হওয়া উচিত।’
সাংসদদের বারবার বেতন বাড়ানো নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সমালোচনার কথা উল্লেখ করে সপা সাংসদ বলেন, সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও সাংসদদের চেয়ে বেশি বেতন পান। তাই সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা নিয়ে সংসদের মাথা ঘামানো উচিত নয়।
নরেশের এই প্রস্তাব সমর্থন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে বলেন, ‘অন্য সবার মতো সাংসদদেরও বেতন বাড়া উচিত। সংসদের প্রশাসকদের এই দাবির বিষয়ে ভাবা উচিত। আমার মনে হয়, সাংসদদের বেতন বাড়ানোই যথেষ্ট নয়, সাধারণ মানুষের বেতনও বাড়ানো উচিত।’
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুও সাংসদদের বেতন বাড়ানোর দাবিকে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে আমি বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে ওয়াকিবহাল। আমি রাজ্যসভার নেতাকে বিষয়টি জানাব। উপযুক্ত সময়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সাংসদরা এখন প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা বেতন পান। এছাড়া অধিবেশন চলাকালীন সংসদের হাজিরা খাতায় সই করলেই প্রতিদিন ২,০০০ টাকা ভাতা পান। এছাড়া সাংসদ এলাকা ভাতা হিসেবে ৪৫,০০০ টাকা এবং দফতরের খরচ বাবদ ৪৫,০০০ টাকা করেও পেয়ে থাকেন সাংসদরা। এখানেই শেষ নয়, স্টেশনারি ও পোস্টেজের খরচ হিসেবে ১৫,০০০ টাকা এবং সচিব হিসেবে এক ব্যক্তিকে রাখার জন্যও ৩০,০০০ টাকা পান সাংসদরা। এরপরও দিনের পর দিন সংসদ অচল করে রেখে তাঁরা বেতন বাড়ানোর দাবি তুলছেন।
হট্টগোলে ক্রমাগত পণ্ড সংসদের অধিবেশন, বেতন বাড়ানোর দাবিতে একমত সবপক্ষ
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
22 Dec 2017 08:33 PM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -