নয়াদিল্লি: অবশেষে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ডাকার কথা জানাল কেন্দ্র।  গুজরাতের বিধানসভা ভোট শেষ হওয়ার পরই শুরু হবে অধিবেশন। গুজরাতে শেষ দফার ভোট ১৪ ডিসেম্বর। এর পরদিন অর্থাত ১৫ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে অধিবেশন, চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
শীতকালীন অধিবেশনের সময় নিয়ে আলোচনার জন্য আজ বৈঠকে বসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিপিএ)। পরে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার জানিয়েছেন, কমিটি ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অধিবেশনের প্রস্তাব দিয়েছে। নিয়ম অনুসারে, কমিটির সুপারিশ পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।
উল্লেখ্য, বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে শীতকালীন অধিবেশন ডাকার ব্যাপারে গড়িমসির অভিযোগ এনেছে। বিরোধীদের দাবি, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ভয় পেয়েই ভোটের মধ্যে সংসদ পিছোচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংসদে এইসব বিষয় নিয়ে সংসদে আলোচনা হলে প্যাঁচে পড়বে বিজেপি। সেজন্যই সংসদের অধিবেশন ডাকছে না সরকার।
যদিও গুজরাতের ভোটের পর অধিবেশন ডাকার সিদ্ধান্তে অস্বাভাবিক কিছুই নেই বলে জানিয়েছেন অনন্ত কুমার। তিনি বলেছেন, অতীতেও বিভিন্ন ভোটের কথা মাথায় রেখে সংসদের অধিবেশনের দিনে অদলবদল রয়েছে।   ইন্দিরা গাঁধী, নরসিমা রাও এবং মনমোহন সিংহর জমানাতেও এই ঘটনা ঘটেছে।
এবারের অধিবেশনকে ফলপ্রসু করে তুলতে উভয় কক্ষের কাজকর্ম যাতে অবাধে হয় সেজন্য বিরোধী সহ সমস্ত দলগুলির সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।
অধিবেশনের মধ্যেই পড়ছে ইংরেজি নববর্ষ।ওই দিনটিতেও  সাংসদদের হাজির থাকতে বলা হবে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে অনন্ত কুমার বলেছেন, নববর্ষ সহ সমস্ত কাজের দিনই সাংসদদের হাজির থাকার কথা।
এই অধিবেশনে তিন তালাক সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ হওয়ার কথা।