নয়াদিল্লি: প্রথা চালু হয়েছে। এবার তাকে আরও বৃহত্তর আকার দেওয়া লক্ষ্য। সামরিক বাহিনীতে সম্পূর্ণ মহিলা ব্যাটালিয়ন গড়ে তোলা এবং রণতরীতে মহিলাদের নিয়োগ করা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর।


দেশের সামরিক বাহিনীতে আরও বেশি করে মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। সম্প্রতি, ভারতীয় বায়ুসেনায় তিন বীরাঙ্গনাকে ফাইটার পাইলট হিসবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এখন সেই প্রথাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যে মোদী সরকার বদ্ধপরিকর, তা স্পষ্ট।

সোমবার পর্রীকর জানান, ভারতকে ঝাঁসির রানী এবং দূর্গার দেশ বলা হলেও, বিভিন্ন কারণে সামরিক বাহিনীতে এতদিন মহিলাদের কার্যত ব্রাত্য করে রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, আমি যেদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়ে দায়িত্ব নিলাম, সেদিনই ঠিক করি, এবিষয়ে একটি কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন।

পর্রীকরের মতে, একবার স্থল ও নৌসেনায় কমব্যাট রোল মহিলাদের জন্য উন্মুক্ত করা হলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েল সহ বিশ্বের এলিট গ্রুপের তালিকায় ঢুকে পড়বে ভারত।

পর্রীকর জানান, একটা প্রচলিত চিন্তাধারা রয়েছে যে, মহিলা কম্যান্ডিং অফিসারের কথা শুনবে না অধস্থন পুরুষ জওয়ানরা। কারণ, তাঁরা (মহিলারা) না কি এসবের জন্য প্রশিক্ষিত নন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, তিনি ওই তত্ত্বে বিশ্বাসী নন।

তাঁর মতে, মহিলারাও কমব্যাট রোল নিতে পারে। সেক্ষেত্রে কেবলমাত্র মহিলাদের নিয়েই একটি পৃথক ব্যাটালিয়ন হতে পারে। পাশাপাশি, যদি কোনও মহিলা অফিসারের পুরুষ ব্যাটালিয়নকে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে সেই সমস্যাও সমাধান করা যেতে পারে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, তিনি খুব শীঘ্রই তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাঁর মতে, রণতরীতে কেন মহিলাদের নিয়োগ করা যাবে না, সেটা তাঁর বোধগম্য হয় না। কারণ, মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জাহাজে পৃথক বন্দোবস্ত করা যেতেই পারে। এর জন্য পর্রীকর জানান, মহিলাদের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি এবং সৈনিক স্কুলে ভর্তি করা যেতে পারে।