নয়াদিল্লি: আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাংসদ-বিধায়কদের ভোটদানে ‘প্রভাবিত’ করার চেষ্টা করলে আইনি ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারে রাজনৈতিক দলগুলি। এমনই নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।


কমিশন জানিয়েছে, দলগুলি ভোটদাতাদের অনুরোধ করতে পারে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে, অথবা ভোটদান থেকে বিরত থাকতে। কিন্তু, কোনওভাবেই ভোটারদের প্রভাবিত করা যাবে না।


কমিশনের মতে, যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কোনও হুইপ জারি হয় না এবং তা সম্পূর্ণ গোপনে হয়, ফলত ভোটাররা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন, তাঁরা কাকে ভোট দেবেন।


প্রসঙ্গত, কয়েকজন ভোটার সম্প্রতি কমিশনের দ্বারস্থ হন। তাঁরা জানতে চান, যদি কোনও ভোটার দলের নির্দেশ অমান্য করে বিপক্ষ প্রার্থীকে ভোট দেন, তাহলে কি তাঁর ভোট ডিসকোয়ালিফাই হবে? অথবা, কোনও বিশেষ ভাবে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিলে দল কি জরিমানার সম্মুখীন হবে?


এর উত্তরেই এদিন কমিশন এই নির্দেশিকা জারি করে। তারা জানিয়েছে, যে দল ভোটদানের জন্য হুইপ জারি করবে বা নির্দেশ দেবে, তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭১-সি ধারা (স্বাধীন ভোটদানে হস্তক্ষেপ বা বাধাসৃষ্টি) ধার্য করা হবে।


প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মোট ভোট হল ১০,৯৮,৯০৩। প্রত্যেক সাংসদের ভোটের মূল্য ৭০৮। অন্যদিকে, বিধায়কের ভোটের মূল্য তাঁর সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।