নয়াদিল্লি: রামদেবের পতঞ্জলি যোগপীঠের করোনাভাইরাস চিকিত্সার ওষুধ ‘করোনিল’ তৈরির দাবি ঘিরে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এরই মধ্যে ভোলবদল পতঞ্জলির আচার্য বালকৃষ্ণর। রামদেবের সহযোগীর দাবি,  তাঁরা করোনা চিকিত্সার কোনও ওষুধ তৈরি করেননি। তিনি বলেছেন, এই করোনিল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওষুধ। এর ব্যবহার করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে সহায়ক হতে পারে।


বালকৃষ্ণ বলেছেন, ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর যে ফলাফল এসেছে, তা আমরা দেশকে জানিয়েছি। আমরা একথা বলিনি যে, এই ওষুধ করোনার চিকিত্সা করে। আমরা বলেছিলাম, এর ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গিয়েছে, তা করোনা সংক্রমণ থেকে   সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক। এর মধ্যে সংশয়ের কিছু নেই’।

বালকৃষ্ণ আরও বলেছেন, ‘কেউ বলছেন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ভুয়ো, কেউ বলছেন, এই ওষুধ ভুয়ো। আমরা কখনও বলিনি যে, আমরা করোনার ওষুধ তৈরি করেছি। আমরা বলেছি, আমাদের তৈরি ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে করোনা রোগী সুস্থ হয়েছিল’।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন পতঞ্জলির যোগগুরু বাবা রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক নথি অনুযায়ী স্বসরি বটি ও করোনিল করোনার তথ্যভিত্তিক প্রথম আয়ুর্বেদিক ওষুধ। এই গবেষণা যৌথভাবে করে পতঞ্জলি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই), হরিদ্বার, ও জয়পুরের ন্যাশনাল ইন্সস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (এনআইএমএস)।ওষুধ তৈরি করেছে হরিদ্বারের দিব্য ফার্মেসি ও পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেড’।

রামদেব বলেছিলেন যে, ‘আজ একথা বলতে গিয়ে গর্ব বোধ করছি যে, করোনার প্রথম আয়ুর্বেদিক ক্লিনিক্যাল কন্ট্রোলড, ট্রায়াল, এভিডেন্স ও রিসার্চ ভিত্তিক ওষুধ পতঞ্জলি রিসার্ড সেন্টার ও এনআইএমএস যৌথভাবে তৈরি করেছে। এই ওষুধ সম্পর্কে আমরা দুটি ট্রায়াল করেছি। ১০০ রোগীর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হয়, যাতে ৯৫ জন অংশ নেন। তিনদিনের মধ্যে ৬৯ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়। সাতদিনে ১০০ শতাংশই রোগীই সুস্থ হয়’।