ওই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশন দাখিল করেছিল মদ ব্যবসায়ী সংগঠন। ব্যক্তিগত ভাবেও অনেকে নীতীশ কুমার সরকারের কঠোর সাজার ব্যবস্থা সহ চালু করা মদ্যপান আইনের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হন। একাধিক রিট পিটিশনের ওপর রায়দান গত ২০ মে স্থগিত রেখেছিল একাধিক বেঞ্চ।
মদের পিছনেই গরিব-গুর্বো মানুষ আয়ের টাকা উড়িয়ে পকেট ফাঁকা করে ফেলে, ভবিষ্যতের জন্য কিছুই সঞ্চয় হয় না, এহেন প্রাথমিক ভাবনা থেকেই প্রথমে ১ এপ্রিল থেকে দেশী মদ তৈরি, বিক্রি, খাওয়া নিষিদ্ধ করে নীতীশ কুমারের ধর্মনিরপেক্ষ জোট সরকার, কিন্তু পরে রাজ্যে বিদেশি মদ সহ সব ধরনের মদের ওপরই নিষেধাজ্ঞা চাপায়। যদিও নানা মহল থেকে এর বাস্তবতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে, বিশেষত রাজ্যের আয়ের রাস্তা বন্ধ করে কেন এমন সিদ্ধান্ত? সে কথাই বলেন অনেকে।
তবে মদে নিষেধাজ্ঞার মূল হোতা ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। নিষেধাজ্ঞা ঠিকঠাক কার্যকর হচ্ছে কিনা, সেদিকে নিজে নজর রাখছিলেন তিনি। এমনকী মদ নিষিদ্ধ করার বার্তা নিয়ে তিনি ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাবও গিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু আদালতে তাঁর পদক্ষেপের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রেস্তোঁরা ও বার অ্যাসোসিয়েশনের কৌঁসুলি ওয়াই ভি গিরি যুক্তি দেন, রাজ্যের আইনটি ‘অসাংবিধানিক’ কারণ তা সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদে সুরক্ষিত একজন মানুষের নিজের পছন্দের জীবনধারা পালনের অধিকারের সামনে অযৌক্তিক বাধা তৈরি করেছে।