কেরল: বাবা বিহারের শেখপুরা জেলার গোসাইমাডি গ্রাম থেকে আসা একজন পরিযায়ী শ্রমিক। কর্মসূত্রে পরিবারকে নিয়ে চলে এসেছিলেন কেরলের কানগারাপাডিতে। মেয়ের পড়াশোনা শেখা সেখানেই। স্কুল জীবন থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী সে। এই বছরের স্নাতকস্তরের পরীক্ষায় গোটা কেরলে প্রথম স্থান অধিকার করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে পায়েল।


কলেজে পড়াকালীন কলাবিভাগের ছাত্রী ছিল পায়েল। দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় ৮৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয় সে। এরপর দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় তাঁর নম্বর ছিল ৯৫ শতাংশ। ২০১৭ সালে মহাত্মা গাঁধী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার থোমা কলেজে স্নাতক স্তরের পড়া শুরু করে পায়েল।

সূত্রের খবর, একবার আর্থিক কারণে পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল পায়েলকে। কিন্তু কলেজের সাহায্যেই আবার শুরু হয় পড়াশোনা। ২০১৮ সালে কলেজের তরফে বন্যা দুর্গতদের সাহায্যেও যোগ দিয়েছিল সে।

ভবিষ্যতে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা শেষ করে সিভিল সার্ভিসের জন্য তৈরি হতে চায় পায়েল। তার কথায়, 'আমি যখন বিহার থেকে চলে আসি তখন আমার ৪ বছর বয়স ছিল। আমার বাবার আর্থিক অভাব থাকা সত্ত্বেও আমায় পড়াশোনায় উৎসাহ দিয়েছে।'