নয়াদিল্লি:  নোট বাতিলের পর এবং বাজারে যখন নগদের হয়রানি চলছে, তখনই অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যম পেটিএম-এর বাড়বাড়ন্ত। এবার সেই পেটিএম পেমেন্ট ব্যাঙ্কে পরিণত হতে চলেছে। সম্প্রতি পেটিএম কর্তৃপক্ষ লেনদেন আরও সহজ করতে পাঁচটি নয়া ফিচার যোগ করেছেন তাঁদের পরিষেবায়। সেগুলো একনজরে দেখে নেব একবার

কী হবে আমাদের মোবাইল ওয়ালেটের?

এবার থেকে ওয়ালেট ব্যালেন্সই হয়ে যাবে অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স। আর সেই অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সের সাহায্যে পেটিএম ব্যবহারকারী নয়া অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এবার সেই অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সই উবের-এর ভাড়া, বিভিন্ন জিনিষের বিল, ফোন রিচার্জ এবং অনলাইনে শপিং করতে ব্যবহার করা যাবে।

শুধু এধরনের পরিষেবা নয়, এবার থেকে মাইক্রো ফিন্যান্সের অন্তর্গত বিভিন্ন পরিষেবাও পাওয়া যাবে পেটিএম-এর মাধ্যমে। মিউচুয়াল ফান্ড, ডেবিট কার্ড, বিমা, লোন সংক্রান্ত সমস্ত কাজই সারা যাবে পেটিএম-এর মাধ্যমে। তবে এবিষয়ে কাজ এখন চলছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সেই পরিষেবা পাওয়া যাবে।
স্বনিযুক্ত ব্যবসায়ীরা এখন থেকে নিজেদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারবেন। কত টাকা অ্যাকাউন্টে জমা করা যাবে, যেটা প্রতিদিন মধ্যরাতে স্থির করা হয় এবং তার জন্য সেটেলমেন্ট চার্জ ০ শতাংশ। তবে অন্য ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলে, সেখান থেকে পেটিএম-এর মাধ্যমে টাকা জমা হলে, কিছু চার্জ হয়তো বসবে আগামী মাস থেকে।
এখন থেকে টাকা সিঙ্গল স্ক্রিনের সাহায্যে খুব শীঘ্র অ্যাকাউন্টে যোগ করা যাবে। সিঙ্গল স্ক্রিন হওয়ার ফলে লোডিংয়ের সময়ও কম লাগবে, স্পিডও ভাল থাকবে।

এখন থেকে পেটিএম-এ ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এটা সহজ এবং তাড়াতাড়ি ব্যবহার করা যায় এবং ১০০ শতাংশ সুরক্ষিতও।
এখন থেকে লেনদেন করা যাবে ফোনের ইমেজ গ্যালারিতে দিয়ে ব্যবহারকারীর পেটিএম কিউআর কোড স্ক্যান করেও।
পেটিএম সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পেটিএম কমিউনিটি ফোরামে গিয়ে জানা যাবে। পেটিএম অ্যাপস-এ গিয়ে পেটিএম কমিউনিটি ফোরাম ঢোকার সুযোগ পাওয়া যাবে।