নয়াদিল্লি: এবারের দেওয়ালিতে দেশের কয়েকটি শহরে দুঃস্থ মানুষজনকে শুভেচ্ছাবার্তা হিসাবে মিষ্টি বিলি করবে পেটিএম। আলোর উতসবে দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুর গরিব পরিবারগুলিতে খুশির আলো ছড়াতে কয়েক হাজার মিষ্টির বাক্স দেবে তারা। প্রতিটি বাক্সে থাকবে আধ কেজি মিষ্টি। পেটিএম পুরো উদ্যোগের স্পনসর পেটিএম। তারা এই উদ্যোগে হাত মিলিয়েছে শেফ বিকাশ খন্নার সঙ্গে।
পেটিএমের জনৈক মুখপাত্র বলেছেন, এবছর ভারতে কঠিন পরিস্থিতি রয়েছে। চলতি করোনাভাইরাস অতিমারী এমনিতেই যারা গরিব, সহায়হীন, তাদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। এই প্রয়াসের লক্ষ্য দিওয়ালির আনন্দ কিছুটা বিলিয়ে দেওয়া। উত্সবের মরসুমে ওঁদের কথা কেউ ভুলে যায়নি, সেটা মনে করিয়ে দেওয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াস এটা। ভারতীয়দের সব রকম ভাবে সেবা করতে দায়বদ্ধ রয়েছি আমরা।


বিকাশ বলেছেন, দেওয়ালি এমন এক শুভ পর্ব যা খুশির বার্তা বয়ে আনে। সকলে পরিবার, বন্ধুত্বের বন্ধন জোরদার করে। কিন্তু এ বছর চলতি অতিমারির জেরে অনেক পরিবারের কাছেই তার দীপ্তি কিছুটা যেন ম্লান, নিষ্প্রভ। যাঁদের আর্থিক সঙ্গতি সামান্য, তাঁদের মনে কিছুটা হতাশার ছোঁয়া। আমরা একটা সামান্য প্রয়াস চালাচ্ছি যাতে ওঁদের প্রত্যেককে একটা মিষ্টির বাক্স উপহার দেওয়া যায়। প্রত্যেকে দুঃখ-কষ্ট কিছুটা ভুলে দীপাবলীর আলোর রোশনাই উপভোগ করতে পারেন। এটা আমআদমির বেঁচে থাকার স্পৃহাকে সম্মান জানাতে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস এবং পেটিএম সিইও বিজয় শেখর শর্মা ও তাঁর টিমের সঙ্গে এতে সামিল হতে পেরে আমি গর্বিত। ভারতবাসীর মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার প্রয়াস সবসময় তারা সমর্থন করে।

বিকাশের পাশে এর আগে লকডাউনের সময়ও ছিল পেটিএম। তারা বিকাশের ফিড ইন্ডিয়া উদ্যোগ স্পনসর করেছিল। লকডাউনে আয়ের উত্স বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যাঁদের, তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছিল তারা। পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন, বারাণসী জংশন, দানাপুর, পটনা ও মুজফফপুর জংশন-এই পাঁচটি রেল স্টেশনে লকডাউনের সময় ঘরমুখী পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবারের বন্দোবস্ত করতে রান্নাঘর চালু করতেও এনডিআরএফ, এসএসবি, ফিড ইন্ডিয়ার সঙ্গে সমন্বয় গড়ে কাজ করেছিল পেটিএমের টিম।