নয়াদিল্লি: বছর শেষ হওয়া পর্যন্ত ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসে সমস্ত টাকার লেনদেনের ওপর নজর রাখবে কেন্দ্র। যিনি টাকা জমা দিচ্ছেন, তাঁর আয়ের সঙ্গে যদি জমা দিতে আসা টাকার সাযুজ্য না থাকে, তবে ২০০% জরিমানা দিতে হবে তাঁকে। তবে গৃহবধূ, ছোট ব্যবসায়ী ও কর্মীরা যদি দেড়-দু’লাখ টাকা জমা দিতে আসেন, তবে তাঁদের কোনও সমস্যা হবে না।


কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব হাসমুখ আধিয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, গয়না বিক্রেতারা ক্রেতার প্যান নম্বর ছাডাই গয়না বিক্রি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার, ৫০০, ১০০০ টাকার নোট নিষিদ্ধ করার পর খবর আসে, এক শ্রেণির গয়না বিক্রেতা বাজার দরের থেকে বেশি দামে গয়না বেচে ক্রেতাদের কালো টাকা সাদা করায় সাহায্য করছেন। এরপরেই কেন্দ্রের এই হুঁশিয়ারি।

কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, যদি কেউ ১০লাখের ওপর টাকা অ্যাকাউন্টে জমা দেন, ও সেই টাকা যদি তাঁর আয়কর রিটার্নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তবে তা কর ফাঁকি বলে গণ্য করা হবে, জরিমানা বসবে ২০০%।

প্রতিটি ব্যাঙ্কের শাখায় রোজ কতগুলি করে ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট জমা পড়ছে, তার নিয়মিত তথ্য পাবে সরকার। এই আইন অনুযায়ী, বড় অঙ্কের টাকা জমা পড়লে তা জানাতে হবে সরকারকে। ১০ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে যে সব অ্যাকাউন্টে অন্তত ২.৫ লাখ করে টাকা জমা পড়বে, তার খবর চলে যাবে সরকারের কাছে। ওই জমা হওয়া টাকার সঙ্গে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের আয়কর রিটার্ন মিলিয়ে দেখবে কেন্দ্র। তারপর নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন কালো টাকা? উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে মিলল ৫০০ ও ১০০০ টাকার পোড়া নোট