নয়াদিল্লি: ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের হারের পরেই লেনিনের মূর্তি ভাঙাকে মানুষের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার পরিণাম বলে উল্লেখ করলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তবে একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, মধ্যযুগে পরাজিত দলের লোকজনের উপর আক্রমণ করা হত। বর্তমান সময়ে এটা হওয়া উচিত নয়।


ত্রিপুরায় লেনিনের মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তসলিমা বলেছেন, ‘যাঁদের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তাঁদের পছন্দ না-ই হতে পারে। কিন্তু তা বলে মূর্তি ভাঙা উচিত নয়। এটা যে যুগে হত, সেটাকে আমরা অন্ধকার যুগ বলি। কিন্তু বর্তমানে আমরা আধুনিক সময়ে বাস করছি। নির্বাচনে যে দল পরাজিত হয়, তারা শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, শত্রু নয়।’

শুধু ত্রিপুরাই নয়, কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গাঁধী, বি আর অম্বেদকর, পেরিয়ারের মূর্তিও ভাঙা বা রং লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ট্যুইট করে তসলিমা বলেছেন, ‘লেনিন, পেরিয়ার, অম্বেদকর, সুভাষ বসুর মূর্তি ভাঙা হয়েছে। মানুষ আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না। কোনও সমস্যা নেই। ফের মূর্তি গড়া হবে।’

আরও একটি ট্যুইট করে তসলিমা বলেছেন, ‘কলকাতায় গাঁধী, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগরদের মূর্তির জন্য ওয়াই বা এক্স ক্যাটাগরির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু লেনিনের মূর্তির জন্য জেড প্লাস নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাল সেলাম, কমরেড স্যালুট!’