চন্ডীগড়: রাস্তাঘাটে দুষ্কৃতীকে মহিলার শ্লীলতাহানি করতে বা মারদাঙ্গা, লুটপাট-খুন করতে দেখলে সাধারণ মানুষের অধিকার আছে সেই দুষ্কৃতীকে মেরে ফেলার! এমনই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন হরিয়ানা পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) কে পি সিংহ। তাঁর মন্তব্য আইন হাতে তুলে নিতে ইন্ধন দেবে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে।


 

সাম্প্রতিক জাঠ আন্দোলন মোকাবিলার ইস্যুতে হরিয়ানা পুলিসের ভূমিকা তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। তারপরই যশপাল সিঙ্ঘলকে সরিয়ে কে পি সিংহকে ডিজি পদে বসানো হয়। আর শুরুতেই বিতর্ক।

 

তিনি বলেছেন, আমজনতা জানে না, আইন লঙ্ঘন হতে দেখলে তারা ব্যবস্থা নিতেই পারে। ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার একা শুধু পুলিশকেই দেওয়া হয়নি। একজন মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করছে বা কারও বাড়িঘর জ্বালিয়ে মারদাঙ্গা করছে বা কাউকে খুনের চেষ্টা করছে, এহেন দৃশ্য দেখলে যে কেউ এমন কাজে জড়িত লোকটির জীবন কেড়ে নিতে পারেন। আইন তাঁকে সেই অধিকার দিয়েছে।

হরিয়ানার ঝিন্দে এক অনুষ্ঠানে এই অভিমত জানান পুলিশকর্তাটি। এও বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা যেমন পুলিশের কাজ, তেমনই একজন সাধারণ নাগরিকের কী ভূমিকা-কাজ, সেটাও বুঝতে হবে।

ঘটনাচক্রে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯৬ থেকে ১০৬ অনুচ্ছেদে ব্যক্তিগত সম্পত্তি, জীবন রক্ষা সংক্রান্ত অধিকারের কথা রয়েছে। এই অনুচ্ছেদগুলিতে একজনকে সরকারি প্রশাসনের সহায়তা না পাওয়া পর্যন্ত নিজের জীবন, সম্পত্তি রক্ষায় হামলাকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বল প্রয়োগের অধিকার দেওয়া হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারির জাঠ আন্দোলন মোকাবিলায় রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিপি হুঁশিয়ারি দেন, হরিয়ানা পুলিস আগামী দিনে কোনও অশান্তি তৈরি হলে নীরব দর্শক হয়ে থাকবে না। অপরাধীদের দমন করা হবে। কয়েকজন জাঠ নেতা সংরক্ষণের দাবিতে ফের আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। সে কথা মাথায় রেখে ডিজিপি বলেছেন, আন্দোলনের অধিকার জনতার আছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা গাছ কেটে পরিবেশের ক্ষতি করলে, সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে সেটা অন্যায়।