নয়াদিল্লি: মনমোহন সিংহের মতো 'বিদ্বান প্রধানমন্ত্রী'র অভাব বোধ করছেন দেশবাসী। বললেন অরবিন্দ কেজরীবাল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে কি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি প্রচ্ছন্ন কটাক্ষ রয়েছে? তেমনটাই ধারণা কারও কারও।
২০১৩ সালে দিল্লি বিধানসভা ও পরের বছরের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কেজরীবালের আমআদমি পার্টি (আপ) তাদের দুর্নীতি বিরোধী প্রচারে টার্গেট করেছিল ইউপিএ জমানার প্রধানমন্ত্রী মনমোহনকে। কিন্তু টাকার দামের পতন সংক্রান্ত ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক নিবন্ধ পোস্ট করে কেজরীবাল আজ ট্যুইট করেন, ডঃ মনমোহন সিংহের মতো একজন শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রীর না থাকাটা মানুষকে পীড়া দেয়। একজন প্রধানমন্ত্রীর অবশ্যই শিক্ষিত হওয়া কাম্য। দেশবাসীর এখন মনে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই শিক্ষিত হতে হবে।




কেজরীবালের দল প্রধানমন্ত্রী মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, তাঁর ডিগ্রির বৈধতা নিয়ে আগেও সংশয় প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছে। ট্যুইটারে কেজরীবাল এও বলেন, বিজেপি দিল্লির মানুষের জল নিয়েও নোংরা রাজনীতি করছে। ২২ বছর ধরে দিল্লি জল পাচ্ছিল। আচমকা, হরিয়ানার বর্তমান বিজেপি সরকার জল সরবরাহ অনেক কমিয়ে দিয়েছে। কেন? দয়া করে নোংরা রাজনীতি করে আমজনতাকে দুর্ভোগে ফেলবেন না।




পাশাপাশি আজ প্রকাশিত উপনির্বাচনের ফলে বিজেপির খারাপ ফল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ বলেও অভিমত জানান তিনি। কেজরীবালের ট্যুইট, এই ফল দেখাল, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ প্রবল অসন্তুষ্ট। এপর্যন্ত লোকে বলছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প কী। আজ মানুষ জানিয়ে দিল, মোদীজী বিকল্প নন। আগে ওনাকে সরাতে হবে।
এদিন বিজেপি উত্তরপ্রদেশের কৈরানা, মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা-গোন্ডিয়ায় লোকসভা উপনির্বাচনে হেরেছে, যদিও মহারাষ্ট্রের পালঘর লোকসভা কেন্দ্রটি দখলে রাখায় কিছুটা মুখরক্ষা হয়েছে তাদের।