বেঙ্গালুরু: বিজেপিকে 'সর্বসম্মতিক্রমে' ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছেন উত্তরপূর্বের জনগণ। 'ঘৃণার রাজনীতি'কে প্রত্যাখ্যান করেছেন তাঁরা। বললেন নরেন্দ্র মোদী।
গতকাল ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। নাগাল্যান্ডে জোট গড়ে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে। ত্রিশঙ্কু মেঘালয়েও কংগ্র্রেসকে টেক্কা দিয়ে সরকার গঠনে আসরে নেমে পড়েছে মোদীর দল।
আজ টুমাকুরুতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক যুব কনভেনশনে ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরার ভোটের ফল তাঁকে বিরাট আনন্দ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন। বলেন, উত্তরপূর্বের ভাই, বোনেরা বিজেপিকে জিতিয়ে ক্ষমতায় এনে ঘৃণার রাজনীতি খারিজ করলেন।
টুমাকুরুর ওই কনভেনশনের আয়োজন করা হয় সেখানকার রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রমের সিলভার জুবিলি ও বিবেকানন্দের শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতার ১৫০-তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংহতি রক্ষায় শপথ গ্রহণ করেই মৌলবাদের প্রসার আটকানো যায়।
উত্তরপূর্বের পূর্বতন বাম ও কংগ্রেস শাসনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আগে ওখানকার মানুষ ভারতের মূলস্রোত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করতেন ওই সরকারগুলির বিভিন্ন নীতি, সিদ্ধান্তের জন্য যা ওদের পৃথক করে রাখত। কিন্তু আমাদের সরকার এমনভাবে কাজ করার শপথ নিয়েছে যে, দেশের কোনও অংশ, সম্প্রদায়ই নিজেদের বিচ্ছিন্ন ভাববে না। আমরা সেই লক্ষ্যে এগচ্ছি। এটা প্রমাণ করেছি। এই সংহতি বোধ কর্নাটকের মানুষের মধ্যেও দেখা যায়।
উত্তরপূর্বের মানুষের দেওয়া রায়টাই একটি বড় বদল বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, বিধানসভা ভোটের ফলের মাধ্যমে উত্তরপূর্বের জনতা যে উচ্ছ্বাস দেখালেন, তাতে সামিল হয়ে গোটা দেশও তাদের এই বার্তা দিয়েছে যে, তারাও ওখানকার মানুষের স্বপ্ন, বাসনার শরিক। দেশের ঐক্যের স্বার্থেই উত্তরপূর্বের সেন্টিমেন্টের প্রতি সমর্থন জানানো প্রয়োজন, একটা বড় ব্যাপার। উত্তরপূর্বের ভোটের ফল সারা দেশে এক উতসবের আবহাওয়া এনেছে, দেশের মানুষ একসঙ্গে উত্তরপূর্বের মানুষের আনন্দ উদযাপন করেছেন। আমি উত্তরপূর্বের ফলাফলকে রাজনৈতিক জয়, পরাজয়ের মাপকাঠিতে দেখছি না। আসল কথা হল, গোটা দেশ ওখানকার মানুষের সুখের ভাগীদার হয়েছেন। এমন মূহূর্ত কমই আসে যখন উত্তরপূর্বের সাফল্য পুরো দেশের হয়ে ওঠে।