বালাসোর: দেশের পশ্চিম প্রান্তে যখন উন্নয়ন চোখে পড়ছে, তখন পূর্ব প্রান্ত ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে। ওড়িশার বালাসোরে এক জনসভায় মন্তব্য করলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য, দেশের পূর্ব প্রান্তে উন্নয়নকে তরাণ্বিত করা।

এদিন দারিদ্র্য নিয়ে আগের কংগ্রেস সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন মোদী। বলেন, আমরা গত ৪০-৫০ বছর ধরে ‘গরিবি হটাও’ স্লোগান শুনে আসছি। তিনি যোগ করেন, যাঁরা এই দাবি করেছিলেন, তাঁরা হয়ত ভাল ছিলেন, কিন্তু তাঁরা যে পন্থা অবলম্বন করেছিলেন, তা ভুল ছিল। কারণ, এই সময়ে দেশে উল্টে দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং অসুখ বেড়ে গিয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এদিন বালাসোরে একটি জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, প্রথম দিন থেকেই দেশ থেকে দারিদ্র্যকে দূর করার পরিকল্পনা করে আসছেন। এর জন্য তাঁর মাথায় বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে।

নিজেকে এই দেশের ‘প্রধান সেবক’ হিসেবে উল্লেখ করে মোদী বলেন, সংসদে প্রথম ভাষণেই আমি বলেছিলাম, এই সরকার গরিবদের কল্যাণে নিবেদিত। আমার লক্ষ্য, দেশের প্রত্যেক রাজ্যের উন্নয়নের গতি বজায় রাখা।

কংগ্রেসের পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের নতৃত্বাধীন বিজেডি-শাসিত ওড়িশা সরকারকেও আক্রমণ করেন তিনি। মোদী বলেন, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলি অনেক দ্রুততার সঙ্গে উন্নতি করছে। অন্যদিকে, ওড়িশা পেছনে পড়ে রয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই তিনি ওড়িশাবাসীদের সামনে ‘পরিবর্তন’-এর ডাক দেন।

প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, কেন দেশের পশ্চিমাঞ্চল পূর্বাঞ্চলের চেয়ে বেশি উন্নত সেটা ভাবার সময় এসেছে। তিনি জানান, ওড়িশা এমন একটি রাজ্য যেখানে প্রাকৃতিক সম্পদ প্রভূত পরিমাণে রয়েছে। অথচ, এরাজ্যের মানুষই বঞ্চিত এবং এখানে উন্নয়নও থমকে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য হবে দেশের পূর্ব প্রান্তে উন্নয়নকে তরাণ্বিত করা।

পাশাপাশি, এদিন দেশ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণে দেশবাসীর সহযোগিতা চাইলেন মোদী। মোদী বলেন, দারিদ্র্যকে দূর করার জন্য গরিবদের ক্ষমতায়ণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। এনডিএ সরকার সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, সবচেয়ে গুরুত্ব রেল, সড়ক যোগাযোগ এবং শিক্ষাক্ষেত্রে দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে, গ্রামগুলির বৈদ্যুতিকরণের ওপরও নজর দেওয়া হচ্ছে।