নয়াদিল্লি: বিনা মূল্যে দ্বিতীয় শ্রেণির বাতানূকুল কামরায় সারা বছর ট্রেন সফর থেকে পেনশন- হাজার রকম সুযোগসুবিধে পান প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়করা। কিন্তু বাস্তব হল, তাঁদের মধ্যে অন্তত ৮০ শতাংশই কোটিপতি। বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাদের পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এই সুযোগসুবিধে অর্থহীন, নিষ্প্রয়োজন। কেন্দ্রের কাছে তাদের প্রশ্ন, কেন এ সব বন্ধ করা উচিত নয়।


বিচারপতি জে চেলমেশ্বর ও বিচারপতি এস আবদুল নাজিরের বেঞ্চ আইনসভার প্রাক্তন সদস্যদের সুযোগসুবিধে সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন তৈরির পক্ষে মত দিয়েছেন। এ ব্যাপারে লোকসভা ও রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলের অভিমত চেয়েছেন তাঁরা।

তবে একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, যাতে এই প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়করা আর্থিক কষ্টে না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে কিছু অর্থ সাহায্য তাঁদের করা যেতেই পারে।

প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়কদের পাওয়া বিপুল সুযোগ সুবিধে নিয়ে প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় লোক প্রহরী নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তারা জানতে চায়, কেন সাধারণ করদাতার টাকায় এত সংখ্যক প্রাক্তন আইনপ্রণেতার বিলাসের খরচ জোগানো হবে। তাদের কথায়, প্রাক্তন সরকারি কর্মীদের যে পেনশন দেওয়া হয়, তা যে অর্থভাণ্ডার থেকে জোগানো হয়, তাতে তাঁরও অবদান রয়েছে। কিন্তু এই প্রাক্তন আইনপ্রণেতারা সুযোগসুবিধে পান একেবারেই সাধারণ করদাতার টাকায়, তাতে তাঁদের কোনও অবদান নেই। এছাড়া এই অবসরপ্রাপ্ত সাংসদ, বিধায়কদের ৮০ শতাংশই কোটিপতি, পেনশনের প্রয়োজনও নেই তাঁদের। এটা তাঁদের প্রতি একরকম বদান্যতা, যার কোনও গাইডলাইন বা আইনকানুনও নেই।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আইনজীবী এ কথাও বলেন, আগে অন্তত ৪ বছর পূর্ণ হলে একজন আইনপ্রণেতা পেনশনের যোগ্য হতেন। কিন্তু এখন কেউ একদিনের জন্য সাংসদ, বিধায়ক থাকলেই জীবনভর পেনশনের সুবিধে পাচ্ছেন তিনি।

এর আগে এই আর্জি নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সংস্থাটি। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় আদালত।