রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের মোট তেল ব্যবহারের ৯৩ শতাংশই হয় ১৯ টি রাজ্যে। বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে, অপরিশোধিত তেলের বর্তমান দামের কারণে চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যগুলি অতিরিক্ত ১৮,৭২৮ কোটি টাকার বাড়তি রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি এক ডলার বাড়লে রাজ্যগুলি তাদের নির্ধারিত বাজেট হিসেবের থেকে অতিরিক্ত ২,৬৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। এই রাজস্ব যদি বাদ দেওয়া হয়, তাহলে তা রাজ্যগুলির কোষাগারে কোনও প্রভাব ফেলবে না। এসবিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ বাবদ রাজস্ব আয়ের পুরোটাই যদি বাদ দেওয়া হয়, তাহলে পেট্রোলের দাম লিটারে ২.৬৫ টাকা ও ডিজেলের দাম লিটারে ২ টাকা কমানো সম্ভব।
এছাড়াও মূল্যহ্রাস নিয়ে আরও একটি উপায়ের কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রাজ্যগুলি যদি এই দুটি জ্বালানির কেন্দ্রীয় করযুক্ত দামে নয়, মূল দামের ওপর ভ্যাট বসায়, তাহলেও দাম আরও কিছুটা কমানো যেতে পারে। তবে এমনটা হলে রাজ্যগুলির কোষাগারের ৩৪,৬২৭ কোটি টাকা লোকসান হবে।
অন্যদিকে, কেন্দ্র যদি উত্পাদন শুল্ক একটাকা কমায় তাহলে ১০,৭২৫ কোটি টাকার রাজস্ব লোকসান হবে। এই শুল্ক দু টাকা করা হলে লোকসানের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে। এতে কেন্দ্রের কোষাগারের ঘাটতি বাড়বে।